বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন প্রার্থীর কতো সম্পদ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাঘা : চতুর্থ ধাপে রাজশাহীর বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২জনসহ লড়ছেন ৮ জন। সম্পদ বেশি এম কম পাশ জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড.মোঃ লায়েব উদ্দীন (লাভলু)’র।
এবার তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। নগদ টাকা ও আয় বেশি আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রোকনুজ্জামান রিন্টুর। বিএসসি অনার্স পাশ মোঃ রোকনুজ্জামান রিন্টু জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।
লায়েব উদ্দীনের বছরে কৃষি থেকে আয় ২লাখ , আইন ব্যবসা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ও চেয়ারম্যানের সম্মানী পান ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। নিজ নামে নগদ ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৫০ টাকা, ব্যাংকে ৫০ হাজার টাকা। অকৃষি জমি অর্জনকালিন সময়ে ৪লাখ টাকার আড়াই কাঠা জমি,পৈত্রিক সুত্রে প্রাপ্ত জমিতে ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগে দ্বিতল ভীত বিশিষ্ট বাড়ি, ও বৈাহিক সুত্রে উপহার হিসেবে ১৫ভরি স্বর্ণ দেখিয়েছেন তিনি। পেত্রিক সুত্রে পাওয়া নিজ নামে ৫বিঘা জমি রয়েছে তার। প্রার্থীর উপর নির্ভলশীলদের আয় ৫লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ টাকা। স্ত্রীর নামে ৪৮ লাখ ২০ হাজার মূল্যের এপার্টমেন্ট ১টি বাড়ি রয়েছে তার। ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে ৭৫ হাজার টাকার। কর পরিশোধ করেছেন ১৮ হাজার ৮১৮ টাকা। করদাতা হিসেবে নীট সম্পদ দেখানো হয়েছে ২৩ লাখ,৪৩ হাজার ২৫০ টাকা। রিটার্ন প্রদর্শিত মোট আয় দেখানো হয়েছে ৮লাখ টাকা।
২০১৯ সালের নির্বাচনে, হলফ নামায় লায়েব উদ্দীন তার আয় দেখিয়েছিলেন-সাড়ে ৩লাখ টাকা। এর মধ্যে পেশা থেকে ৩লাখ ৩০ হাজার, শেয়ার সঞ্চয় ব্যাংক থেকে ২০ হাজার। এবারের নির্বাচনে হলফনামায় চেয়ারম্যানের সন্মানিভাতাসহ কৃষিখাতে আয় বেড়েছে তার। তবে তার আয় কমেছে আইন পেশায়।
রোকনুজ্জামানের বছরে আয় ৮লাখ ৫০ হাজার। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে ২ লাখ ও অন্যান্য উৎস্য থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৫০ হাজার টাকা, নিজ নামে নগদ টাকার পরিমান দেখিয়েছেন, ৩৩ লাখ, ৯৬ হাজার ৭৫৩ টাকা, ৩লাখ টাকা মূল্যের ১টি প্রাইভেট কার, গ্রীন ভ্যালি পার্কে শেয়ার ক্রয় ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীসহ আসবাবপত্র ৩লাখ,নিজ নামে ৫৩ লাখ ৯২ হাজার মূল্যের ফ্লাট বাড়ি দেখিয়েছেন। সোনালী ব্যাংক থেকে নেওয়া হাউজ লোনের পরিমান-৪৮ লাখ৫হাজার ৪৩২ টাকা।
রিটার্ন প্রদর্শিত মোট আয় দেখানো হয়েছে-সাড়ে ৮লাখ টাকা। করদাতা হিসেবে নীট সম্পদ দেখানো হয়েছে-৫৬ লাখ ৩হাজার ৩২১ টাকা। কর পরিশোধ করেছেন ৫০ হাজার টাকা। করদাতা হিসেবে নীট সম্পদ দেখানো হয়েছে ৫৬ লাখ ৩হাজার ৩২১ টাকা। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লে¬ষনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এছাড়াও ৩ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর হলফনামা বিশ্লে¬ষনে জানা গেছে,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মধ্যে-শিক্ষায় কম মোসাঃ রিনা খাতুন। তিনি অষ্টম শ্রেণী পাশ। তার বাৎসরিক আয়-১লাখ ৫৫ হাজার। নিজ নামে নগদ টাকার পরিমান ১লাখ। ব্যাংকে জমা ২০ হাজার। ৩লাখ ৬০ হাজার টাকার ব্যবসায়িক পরিসম্পদের মালিক রিনার রয়েছে ২ভরি সোনা, ইলেকট্রনিক্সসহ আসবাবপত্র রয়েছে ১লাখ টাকার।
এইচ এসসি পাশ অপর প্রার্থী মোসাঃ ফাতেমা খাতুন লতার নামে ১টি মামলা রয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যানের সন্মানিভাতা পান ২লাখ ৭ হাজার টাকা। নিজ নামে নগদ টাকার পরিমান ৩লাখ,ব্যাংকে জমা ৭৫ হাজার টাকা। ১০ ভরি স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্সসহ আসবাবপত্র রয়েছে ২লাখ টাকার। এবি ব্যাংক লিঃ রাজশাহী শাখায় লোনের পরিমান ৫রাখ টাকা। জমির পরিমান দশমিক ০৩৭৫ শতক।
অপর প্রার্থী মোসাঃ ফারহানা দিল আফরোজ রুমিও ১মামলার আসামী। তিনি বিএ পাশ। ব্যবসা থেকে তার আয় ১লাখ ১০ হাজার। নগদ টাকার পরিমান-২৪হাজার,স্বর্ণ রয়েছে ১০ ভরি। ইলেকট্রনিক্সসহ আসবাবপত্র রয়েছে ১লাখ ৭০ হাজার টাকার। ৫রাখ টাকা মূলে্যূর ১৫ দশমিক৭২৯ শতাংশ জমি রয়েছে।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী-মোঃ কামরুজ্জামান নিপ্পন বিএপাশ। ১টি মামলা ছিল,যা নিষ্পত্তি হয়েছে । কৃষি খাতে তার আয় ১০ হাজার টাকা,ব্যবসা থেকে আয় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। তার নগদ টাকার পরিমান ১লাখ। ৩লাখ ৪০ হাজার টাকা দামের ১টি মোটরসাইকেল,উপহার হিসেবে পাওয়া ১০ ভরি সোনা, ইলেকট্রনিক্সসহ আসবাবপত্র ২লাখ টাকা,অন্যান্য ব্যবসায়িক পরিসম্পদ ৬লাখ টাকাসহ পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ১দশমিক ৫শতাংশ ও ৪ দশমিক ৫ শতক জমি রয়েছে তার।
৩টি মামলার ১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল মোকাদ্দেসের । তিনি এসএসসি পাশ। ব্যবসা থেকে তার বাৎসরিক আয় ৫লাখ,কৃষি খাতে ৫০ হাজার টাকা। নগদ টাকার পরিমান ১২ লাখ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত টাকার পরিমান ৬লাখ ৭০ হাজার। বৈবাহিক সুত্রে পাওযা ১৫ ভরি সোনা, ইলেকট্রনিক্সসহ আসবাবপত্র ২লাখ টাকা,পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া ১০ শতাংশ জমি রযেছে তার।
আলীম পাশ- ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফেজ মাওলানা মেহেদী হাসান (মিনার) এর নামেও ১টি মামলা রয়েছে। তার বাৎসরিক আয় মাদাসার শিক্ষকতা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ১টি মোটরসাইকের,৩ভরি সোনা, ইলেকট্রনিক্সসহ আসবাবপত্র ৪লাখ টাকা ও অকৃষি জমি রয়েছে ১কাঠা। ব্যাংকে তার লোনের পরিমান ২লাখ টাকা।