জেলহত্যা

প্রকাশিত: ০৩-১১-২০২৪, সময়: ১৯:৩৫ |

লেখক : মাহবুব দুলাল

ঢাকা শহরে সেদিন নিকশ কালো অন্ধকার
থমথমে চারদিক,
রাতজাগা পাখি নিঃশব্দে ঘুমে বিভোর।

চাঁদের আলো আগেই বিলীন,
নেই জোনাকির আলো-
তখনো কাটেনি জের বঙ্গবন্ধু হত্যার।

টলমলে দেশ প্রান্তর, ধুম্রজাল রাজনীতির,
রাজতক্তে কেউবা মত্ত;
কেউবা বন্দী, কেউবা নিরুদ্দেশ-নিষ্ক্রিয়,
মাঝিহারা নৌকা পায় না তীরের সাক্ষাৎ।

পচাত্তর পনেরো আগস্ট সেই রাতের ঘটনায়
শংকিত স্তম্ভিত অদ্ভুত দুঃস্বপ্নে আৎকে
উঠেছে জাতি-
অতঃপর তিন নভেম্বর ভোর নিরাপত্তার
সুতিকা কেন্দ্রীয় কারাগার-
মোসলেমের ঘাতক বাহিনী প্রধান
ফটকে আসীন, অনড় কারারক্ষী
রুখে দেয় তাদের।

অতঃপর টেলি যোগাযোগ;
রাষ্ট্রপতি মুস্তাক ও মেজর আব্দুর রশীদ
দেয় আদেশ-অস্ত্রধারীদের ভিতরে প্রবেশ,
জেগে উঠে পাগলা ঘণ্টা; শব্দ গুলির।

১ নম্বর সেলে ব্রাস ফায়ার, এক মুহূর্তে
নিভে যায় প্রাণের স্পন্দন;
ঝাঝরা ডায়েরি খাতা, কুরআনের পাতা,
নিথর দেহ পড়ে রয় জাতীয় চার নেতার।

আবারো রক্তাক্ত পতাকা, মানচিত্র-
গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে ওরা।
বরেন্দ্রের ক্ষণজন্মা হেনা আর তাজ, নজরুল
মনসুর স্বাধীন দেশের সোনার ছেলেরা-
কাপুরুষের কাছে করেনি নত শির,
স্বাক্ষী বাংলাদেশ।

উপরে