ছাত্রের গর্জন
বাংলার মাটিতে গর্জে ওঠে তরুণ প্রাণের উথাল-পাথাল ঢেউ, ন্যায়ের ডাক নিয়ে উঠে দাঁড়ায়, পারবেনা দাবায়া রাখতে কেউ! শিকল ভাঙার..
দর্পচূর্ণের প্রতিক্রিয়া
এ কে সরকার শাওন : জিল্লুর যখন বালিয়া পুকুরের তার ফুফুর বাড়ী বায়ব্যে বসতিতে পৌঁছে তখন সন্ধ্যাটা পেরিয়ে গেছে। মালী চাচা তখনো নিরাপত্তা কক্ষে জায়নামাজে বসা। জিল্লুর বাড়ীতে প্রবেশ করেছে এটা তার নজর এড়ায়নি। ডাক ঘন্টা..
সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া
এ কে সরকার শাওন : বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন তাঁর গতির তৃতীয় সূত্র বলেছেন যে, “প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে”। বিষয়টি শুধু বস্তুর উপর নয় মানুষের মনের উপরও সমানতালে প্রযোজ্য। কোন মানুষকে..
বিকেলে ইবলিশ চত্বরে
এ কে সরকার শাওন : রবিবার চারটার একটু আগে ইবলিশ চত্বরের মাঠে মুখোমুখি বসে গল্প করছে দুই বন্ধু। অনতিদূরে পুকুর পাড় ঘেষে দৃষ্টিনন্দন সুউচ্চ গাছগুলো মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বছরের পর বছর। সেদিকে তাকিয়ে জিল্লুর বললো -এই..
অতল জলে জলাঞ্জলী ৬ষ্ঠ পর্ব: বিকেলে বায়ব্যে বসতিতে
এ কে সরকার শাওন সরকার: পড়ন্ত বিকেলে দুই বন্ধু রিক্সাযোগে বালিয়াপুকুর জামে মসজিদের পাশে একটি বিশাল বাড়ীর সামনে এলে জিল্লুর বললো -এই, থামো, এখানেই থামো। বায়ে রাখো। জগলু রিক্সাতে বসেই দেখলো শ্বেত পাথরে নামফলকে গাঢ়..
অতল জলে জলাঞ্জলী ৫ম পর্ব: ফাল্গুনী মিষ্টি বিকেল
এ কে সরকার শাওন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ। দুপুরের খাবারের পর জগলু বারান্দায় উদোম গায়ে একটি কেদারায় বসে পায়ের উপর পা ভাঁজ করে রেখে হা করে আমের তামাটে মুকুল দেখছে আর আয়েশ করে ক্যাপস্ট্যান..
অতল জলে জলাঞ্জলী ৪র্থ পর্ব: জীবন যেখানে যেমন
এ কে সরকার শাওন : শরতের শেষে সেদিন প্রথম পদ্মারপাড়ে গিয়েছিলো জগলু। ছুটির দিন থাকায় মনে হয় তুলনামূলক ভীড়টা একটু বেশী। একটি নির্জন স্থানে গিয়ে একটি দৈনিক খবরের কাগজ বিছিয়ে আরাম করে বসলো। বাবা বলতেন, “যে কোন পরিবেশে..
অতল জলে জলাঞ্জলী পর্ব-৩ শারদ সন্ধ্যায়
এ কে সরকার শাওন : শরৎকালের আকাশ স্বচ্ছ ও নির্মল। বিশুদ্ধ বিমল বায়ু। হলের তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে পরিষ্কার আকাশের হাতছানি দেখতে পাচ্ছে জগলু। সে “শারদ সন্ধ্যায়” কবিতা থেকে চার চরণ আওড়াইতে লাগলো… শরৎ আকাশ..
অতল জলে জলাঞ্জলী দ্বিতীয় পর্ব “বাড়ী ও বাবার কথা”
এ কে সরকার শাওন : জগলু রাজশাহী এসে নিয়মিত শ্রেণি করতে লাগলো। সে ছাত্রাবাস থেকে খুব একটা বাহিরে যায় না । বড়জোড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকগুলোর বাহিরের রাজপথ পর্যন্ত। মাঝে মাঝে বিভিন্ন চত্বরে ঘুরে আসে একা একা। পড়াশোনায়..