এসিল্যান্ডের প্রচেষ্টায় এলাকাবাসী পেল ভূমি অফিসে যাবার রাস্তা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৫, ২০২০; সময়: ৬:১০ অপরাহ্ণ |
এসিল্যান্ডের প্রচেষ্টায় এলাকাবাসী পেল ভূমি অফিসে যাবার রাস্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক, মান্দা : নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব-বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাতায়াতের নতুন রাস্তার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে এ রাস্তাটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এসএম হাবিবুল হাসান। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দুই ইউনিয়নের লোকজন পেল ভূমি অফিসে যাবার নতুন রাস্তা।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কশব-বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি পাঁজরভাঙ্গা বাজারের অদুরে আত্রাই নদীর কুল ঘেঁষে অবস্থিত। প্রায় শতবছরের পুরোনো এই তহসিল অফিসটি দুই ইউয়িনের বাসিন্দাদের ভূমি সংক্রান্ত সকলসেবা প্রদান করে আসছে। আগের যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থা নদী কেন্দ্রীক হওয়ায় উক্ত অফিসে সরাসরি যাতায়াতের কোন রাস্তা ছিল না। এ অফিসের আশপাশে কোনো খাস জমি না থাকায় দীর্ঘদিনেও সেখানে রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়রা আরও জানান, অফিসের পাশে পাঁজরভাঙ্গা-মিঠাপুর সড়কটি প্রায় দুইশ মিটার দুরে অবস্থিত। সেবা নিতে আসা লোকজন মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন রাস্তায় রেখে পায়ে হেঁটে ভূমি অফিসে যান। এসময় রাস্তায় রেখে আসা বাহন নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তায় থাকেন। এ অবস্থায় এসিল্যান্ড এসএম হাবিবুল হাসানের প্রচেষ্টা ও ভূমি মালিকদের স্বদিচ্ছায় রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু করা সম্ভব হয়েছে।

পাঁজরভাঙ্গা বণিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক জানান, ‘উক্ত তহসিল অফিসে আমরা কোন বাহন নিয়ে যেতে পারি না। এ রাস্তাটি নির্মাণে জন্য দুই ইউনিয়নবাসীর দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি ছিল। রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে সেবা গ্রহিতারা সহজেই তাদের বাহন নিয়ে অফিসটিতে যেতে পারবেন। এসিল্যান্ডের এ উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জ্ঞাপন করছি।’

জমির মালিক দুলাল হোসেন ও হারুন অর রশীদ জানান, ‘এসিল্যান্ড মহোদয় অনেকদিন আগে থেকেই রাস্তাটির জন্য জমিদান করে সহযোগিতা করতে বলে আসছিলেন। কিন্তু উক্ত জমির মালিকানা একাধিক ব্যক্তি হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছে। তবে তহসিল অফিসে যাতায়াতে রাস্তার জন্য জমি দিতে পেরে আমাদেরও খুব ভাল লাগছে।’

এ প্রসঙ্গে এসিল্যান্ড এসএম হাবিবুল হাসান বলেন, ‘আমি মান্দায় যোগদানের পর উক্ত তহসিল অফিসটি পরিদর্শনে গিয়েই আত্মগ্লানিতে ভুগতে থাকি। পাঁজরভাঙ্গা-মিঠাপুর সড়ক থেকে সরাসরি একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য ভূমি মালিক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি। স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে অবশেষে মালিকগণ রাস্তাটি নির্মাণে জমি দান করতে সম্মত হন। এরপরই রাস্তাটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ কাজে সহযোগিতার জন্য পাঁজরভাঙ্গা বণিক সমিতি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সকলের নিকট আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে