রাজশাহীতে আ.লীগের মিলনমেলায় দাওয়াত পাননি জেলার সভাপতি-সম্পাদক
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানায় আয়োজিত এই মিলনমেলায় ২২ জন প্রবীণ নেতাকে ‘‘আওয়ামী লীগে আজন্ম যোদ্ধা’’ উপাধি দিয়ে তাদের সম্মাননা দেয়া হয়। এই মিলনমেলায় নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকলেও দাওয়াত পাননি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ২০১০ সাল থেকে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের মিলনমেলার আয়োজন করা হচ্ছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের উদ্যোগে এই মিলনমেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এবার নিবন্ধন করে প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী মিলনমেলায় অংশ নেন। আর ২২ জন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতাকে এবার ‘আওয়ামী লীগে আজন্ম যোদ্ধা’ সম্মাননা দেয়া হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
যাদের সম্মাননা দেয়া হয়েছে তারা হলেন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, সাইদুর রহমান, তোফাজ্জল হোসেন, আব্দুল আজিজ মাষ্টার, হানিফ উদ্দিন চৌধুরী, মো. নূরুদ্দীন, মজিবর রহমান, মোশাররফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মালেক, মো. সমেস, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা, আব্দুল খালেক, আফজাল হোসেন কচি, মির্জা আনোয়ার হোসেন পটু, নুর কুতুব উল আলম মান্নান, আফতাব চৌধুরী, আলহাজ¦ মাজদার রহমান সুকী, মাওলানা তাজুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন আহমেদ মন্টু।
জানা গেছে, মিলনমেলায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক রফিকুজ্জামান রফিক। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাজশাহী-৫ আসনের এমপি ডাঃ মনসুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জিন্নাতুন নেসা তালুকদার, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ। তবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে আব্দুল ওয়াদুদ দারা বলেন, আওয়ামী লীগের মিলনমেলায় তাকে ও তার সভাপতিকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। তাই তারা সেখানে জাননি। আওয়ামী লীগের এই মিলনমেলাকে বাণিজ্যিক মেলা বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের মিলনমেলার মূল উদ্যোক্ততা ও জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, প্রতি বছরের মত এবারো এক মাস আগে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন করা হয়েছে। এবার প্রায় তিন হাজার নেতাকর্মী নিবন্ধন করেছে। যারা নিবন্ধন করেছেন তারাই এসেছেন।
তিনি বলেন, সিটি মেয়র ও নগর সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটন, তার পত্নী ও নগরের সহ-সভাপতি শাহীন আক্তার রেনী এবং নগরের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার নিবন্ধন করে মিলনমেলায় এসেছেন। আওয়ামী লীগের এই মিলনমেলায় কাউকে দাওয়াত দেয়ার নিয়ম নেয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত ৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনিত হন সাবেক এমপি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা ও সাবেক এমপি আব্দুল ওয়াদুদ দারা। এর আগের কমিটিতে সভাপতি ছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আসাদুজ্জামান আসাদ।