রমজানের সওয়াব অন্য মাসের সত্তর ফরজের সমান

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৭, ২০২০; সময়: ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ |
খবর > মতামত
রমজানের সওয়াব অন্য মাসের সত্তর ফরজের সমান

হোছাইন আহমাদ আযমী : পবিত্র রমজান মাসেই সর্বাধিক কল্যাণ ও শান্তি অবতীর্ণ হয়। মানবতার মুক্তির দূত রাসূল স. ইরশাদ করেন, যখন পবিত্র রমজান মাস শুরু হয় তখন থেকে জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানকে শিকল দ্বারা বন্দি করে রাখা হয়।

যে কেউ এ মাসে একটি নফল ইবাদত করলো সে যেন অন্য মাসে একটি ফরজ ইবাদত করলো। যে একটি ফরজ ইবাদত পালন করলো সে যেন অন্য মাসে সত্তুরটি ফরজ ইবাদত পালন করলো। সারা জীবনের নফলকে একসাথে একত্রিত করলেও একটি ফরজ ইবাদতের সমান হবেনা। শুধুমাত্র রমজান মাসের উসিলায় আল্লাহ তায়ালা এই সুযোগ দান করবেন।

রোযা রাখা, তারাবীহ পড়া, কুরআন তেলাওয়াত করা, দান সদকা করা, তাহাজ্জুদ আদায় করা, তাসবীহ আদায় করা, যিকির-আযকার সহ যত প্রকারের ইবাদত আছে সবগুলো যত্নের সাথে আদায় করা চাই। কেননা বিনিময় এ মাসে বহুগুনে বেশি প্রতিদান পাওয়ার অঙ্গীকার রয়েছে।
কুরআন শরীফ থেকে একটি হরফ তেলাওয়াত করলে দশটি নেকি প্রদান করা হয়। নামাজে তেলাওয়াত করলে একশত নেকি প্রদান করা হয়। তা রমজান মাসে তেলাওয়াত করলে সত্তুরগুন তথা প্রতি হরফে সাত হাজার নেকি প্রদান করা হবে। তাহলে সেই ব্যাক্তি কতইনা ভাগ্যবান যে রমজান মাসে দিনে রোযা রেখে রাতে বিশ রাকাত তারাবীতে সম্পূর্ণ কুরআন শরীফ খতম করবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে