আসুন রোযায় সহযোগী হই

প্রকাশিত: মে ১, ২০২০; সময়: ৮:১৮ অপরাহ্ণ |
খবর > মতামত
আসুন রোযায় সহযোগী হই

হোছাইন আহমাদ আযমী : মাহে রমজান। তাকওয়া অর্জনের মাস। সহমর্মিতার মাস। প্রতি বছরই সংযম ও নেক আমলের বার্তা নিয়ে এ মাসের আগমন ঘটে। এ মাসের প্রতিটি দিনই সাহরী, ইফতার, তারাবীহ, নফল নামায, তিলাওয়াত, যিকির-আযকার ও দান-খয়রাতের মতো বহুবিধ ইবাদতের সমাহার। আর তাই এ মাসে মুসলমানদের দৈনন্দিন রুটিন, আমলের প্রস্তুতি, আমলের উপলক্ষ ও নেক কাজের আগ্রহ বরাবরই একটু ভিন্ন হয়ে থাকে। পাশাপাশি এ মাসের অনিবার্য বিষয় যেহেতু, শারীরিক অবসাদ ও ক্লান্তিবোধ, যা রোযার দীর্ঘ উপবাসের কারণে হয়ে থাকে। তাই এ সময় অন্যের একটু সহায়তা ও সহমর্মিতা খানিকটা হলে স্বস্তি এনে দিতে পারে রোযাদারের মনে।

সুতরাং বরকতপূর্ণ এই মাহে রমযানে রোযা ও অন্যান্য ইবাদতে বরকত লাভের একটি অনিবার্য অনুষঙ্গ হচ্ছে, পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা। তাছাড়া পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহমর্মিতা একটি স্বতন্ত্র নেক আমলও বটে। বলা বাহুল্য, মাহে রমযানে এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য অন্যান্য ইবাদতের মতই বহু গুণে বৃদ্ধি পায়। নেককাজ ও তাকওয়া অর্জনের ক্ষেত্রে অন্যের সহায়তা ও সহযোগিতা করা সম্পর্কে ইরশাদ হয়েছে- “তোমরা সৎকর্ম ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে একে অন্যকে সহযোগিতা করবে। গুনাহ ও জুলুমের কাজে একে অন্যের সহযোগিতা করবে না। আল্লাহকে ভয় করে চলো। নিশ্চয়ই আল্লাহর শাস্তি অতি কঠিন।” (সূরা মায়েদা ৫:২)

হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে-“যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের পার্থিব কষ্টসমূহের একটি দূর করে দেয়, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর অভাবের কষ্ট লাঘব করে, আল্লাহ তাআলা তার দুনিয়া ও আখেরাতের অভাবের কষ্ট লাঘব করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ তাআলা দুনিয়া ও আখেরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আল্লাহ তাআলা বান্দার সহায়তায় থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সহায়তায় থাকে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৩৮)

“তোমাদের মধ্যে যে তার ভাইয়ের উপকার করার সামর্থ্য রাখে, সে যেন তা করে।” (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৬১)

‘শুআবুল ঈমান’ ও ‘সহীহ ইবনে খুযাইমা’র এক রেওয়ায়েতে রমযান মাস সম্পর্কে এসেছে- (রমযান মাস) সহানুভূতি ও সহমর্মিতার মাস। (শুআবুল ঈমান, হাদীস ৩৩৩৬; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১৮৮৭)

কুরআন ও সুন্নাহর বাণীগুলো এ বিষয়ে সুস্পষ্ট যে, নেক কাজে মুসলিম ভাইয়ের সহযোগিতা করা অনেক বড় নেক আমল। আল্লাহ তাআলা নিজেই এর আদেশ করেছেন এবং আল্লাহ তাআলা সহায়তাকারীর সাহায্যে থাকার সু-সংবাদ দিয়েছেন। আর তা যদি হয় মাহে রমযানে! রোযাদারের সহযোগিতা করার কারণে! তাহলে তো ‘ভালোর উপর আরো ভালো’।

নেক কাজে মুসলিম ভাইয়ের সহযোগিতা, বিশেষভাবে রোযাদারের সহযোগিতা একটি বিশাল ও বিস্তৃত অধ্যায়। এখানে শুধু রোযাদারের সহযোগিতার কয়েকটি আঙ্গিক ও দিক সংক্ষিপ্তাকারে পেশ করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে এগুলোর উপর আমল করে রমযানের বরকতকে বহুগুণে বাড়িয়ে নেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।

ঘরের কাজে সহায়তা করি
প্রথমেই আসি ঘরের কাজে। রমযানের বাড়তি আয়োজনের সাথে সাথে ঘরের কাজও একটু বেড়ে যায়। সংসারের অন্যান্য কাজ ছাড়াও ইফতার, রাতের খাবার ও সাহরীর খাবার প্রস্তুতির বাড়তি একটা চাপ থাকে। তবে পারস্পরিক সহযোগিতা এই বাড়তি চাপ কাটিয়ে উঠতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। যেমন, ঘরের কাজে সাধারণত যাদের প্রয়োজন পড়ে না তারা ঘরনির কাজে সহযোগিতা করতে পারেন। ঘরের পুরুষ লোকেরা স্ত্রী লোকদের সহায়তা করতে পারেন। পুত্রবধু শাশুড়ীর কাজে, শাশুড়ী পুত্রবধুর কাজে সহায়তা করতে পারেন। ননদ ভাবির কাজে, মেয়ে তার মায়ের কাজেও সহায়তা করতে পারেন ইত্যাদি।

আরেকটি বিষয়, বিশেষ প্রয়োজন না হলে মাহে রমযানে রান্নাবান্নার বিশাল বড় আয়োজন না করাই ভাল। যেমন, বন্ধুদের নিয়ে ইফতারির আয়োজন। অফিসের সকল কর্মচারিদের নিয়ে কোনো একজনের বাসায় বড় কোনো আয়োজন। আর যদি করতে হয়, তবে খেয়াল রাখতে হবে, ঘরনির উপর যেন বাড়তি চাপ না হয়ে যায়। আর যদি করতেই হয় তবে তাদের উপর যেন চাপ না হয় সে ব্যবস্থা করা। তা হতে পারে বাহির থেকে কিনে এনে আয়োজন করার মাধ্যমে কিংবা অন্য কোনোভাবে। মোটকথা খেয়াল রাখতে হবে, এ মাসে আমার দ্বারা যেন কোনো রোযাদারের কোনো কষ্ট না হয়, আমলে ব্যাঘাত না ঘটে। বরং আমি যেন তাদের কষ্ট লাঘব করতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে।

সংযমী হই
ঘরের নারী সদস্যরাও রোযা রাখেন। এ মাসে অন্যান্য ইবাদতের পাশাপাশি নফল ইবাদতের আগ্রহ তাদেরও থাকে। রমযানের শারীরিক অবসাদ ও ক্লান্তিবোধ তাদেরও কোনো অংশে কম হয় না। এ ক্ষেত্রে তাদের কাজে যদি সহায়তা না-ও করতে পারি কমপক্ষে এটুকু তো করা উচিত যে, নিজেদের চাহিদা মতো কিছু না হলে অথবা কোনো কিছুর ঘাটতি হলে তা সহ্য করে নেওয়া। এটাও তাদের প্রতি সহমর্মিতার প্রকাশ। কিন্তু অনেককেই দেখা যায় সংযমের এ মাসেও তারা নিজেদের বিরক্তি ও ক্ষোভ লুকিয়ে রাখতে পারেন না। রান্নাবান্না একটু এদিক সেদিক হলে, ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন কথা বলে ফেলেন। এটা অবশ্যই সংযমের পরিপন্থী। এ ক্ষেত্রেও আমাদের সংযমী হওয়া উচিত।

নিজেও কিছু করি
অন্য সময় যাদের কাজের লোকের প্রয়োজন হয় না, রমযানে তাদেরও এর প্রয়োজন অনুভূত হয়। কিন্তু এ রমযানেই গৃহকর্মীদের প্রতি গৃহকর্তাদের কিছু দায়িত্ব চলে আসে যদি গৃহকর্মীরা রোযাদার হয়। আর তা হচ্ছে, তাদের কাজে সহযোগিতা করা। বরং তাদের কাজ কিছুটা কমিয়ে দেওয়া যায়। যে কাজটা সে একা করবে তাতে নিজেও হাত লাগানো। না হলেও চলে, এমন কাজের জন্য তাদেরকে চাপ না দেওয়া। রোযার সময় তার নির্ধারিত দায়িত্ব থেকে কিছু কম সেবা গ্রহণ করেও তার সহায়তা করা যেতে পারে। এছাড়া অন্যান্য মাসের তুলনায় রমযানে তার পারিশ্রমিক কিছুটা বাড়িয়ে দেওয়া যায়। এটাও এক ধরনের সহায়তা। তবে এমন যেন না হয় যে, হাদিয়া কিংবা বোনাস দেওয়ার নাম করে আপনি এ কথা ভাববেন বোনাস তো দেবোই, কিছু কাজ বেশি করলে ক্ষতি কী। তাহলে এটা আর রোযাদারের প্রতি আপনার সহমর্মিতা হল না।

রোযাদারের প্রতি সম্মান ও রমযানে গৃহকর্মীদের প্রতি সদয় ও সদাচারের দাবি হল, তার কাজ কমিয়ে দিয়ে পারিশ্রমিক বেশি দেওয়া। তাহলেই আপনি সু-সংবাদের সৌভাগ্যবান অধিকারী হতে পারবেন। এক রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে- “যে ব্যক্তি এ মাসে নিজের অধীনস্থদের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়, আল্লাহ তাআলা তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন”। (শুআবুল ঈমান, হাদীস ৩৩৩৬; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১৮৮৭)

কাজের সময় কমিয়ে দিন
প্রতিষ্ঠানের রোযাদার কর্মচারীদের কাজের সময় বা ‘ওয়ার্ক টাইম’ কমিয়ে দিয়ে তাদের সহযোগিতা করা যেতে পারে। অন্য সময় একজন কর্মচারীর কাছ থেকে সাধারণত যেটুকু সময় কাজ নেওয়া হয়, রমযানে কিছুটা কমিয়ে তাদের ক্লান্তিবোধের প্রতি সদয় হওয়া এবং তাদের কষ্ট লাঘব করা অবশ্যই অত্যন্ত সাওয়াবের কাজ হবে। এটা এভাবেও হতে পারে যে, সময় কমিয়ে পূর্ণ উদ্যমে কাজ করানোর ব্যবস্থা করা। এতে কর্মচারীদেরও একটু সহযোগিতা হবে আবার কর্মকর্তারও কাজের ঘাটতি হবে না। কিন্তু কর্মচারীর জন্য রোযার কারণ দেখিয়ে কাজে অলসতা ও অবহেলা করা কোনোক্রমেই উচিত হবে না। আবার কাজের বাড়তি চাপের কারণে কর্মচারী যদি রোযা রাখা ছেড়ে দেয়, এটাও কর্তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে না। তবে হাঁ, কর্মচারী যদি কষ্ট করে নিজের দায়িত্ব আদায় করে তবে সে এর জন্য অধিক সাওয়াবের অধিকারী হবে। তাই আমাদের জন্য উচিত হবে উভয়ের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে রমযানকে আরো বরকতপূর্ণ করে তোলা।

তাদের প্রতিও খেয়াল রাখি
রোযার দীর্ঘ উপবাসের কারণে শারীরিক অবসাদ, ক্লান্তিবোধ ও কিছুটা কষ্ট প্রায় সকলেরই হয়ে থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে গভবর্তী নারী ও স্তন্যদানকারী জননীর কষ্ট একটু বেশি হয়। স্বামী ও পরিবারের অন্য সদস্যগণ যদি তাদের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখেন তবে তাদের জন্য রোযা রাখা কিছুটা হলেও সহজ হয়ে উঠবে। সাধারণ সময়েই গর্ভবতী মায়েদের অনিবার্য অনুসঙ্গ হল, ক্লান্তিভাব ও দুর্বলতা অনুভব করা; সমান্য কিছু কাজকর্ম করেই ক্লান্ত হয়ে পড়া; আগে ভাল লাগত এমন খাবারও বিস্বাদ লাগা ইত্যাদি। আর রোযার সময় তো এ অনুষঙ্গগুলো আরো বৃদ্ধি পায়। একই অবস্থা হয় স্তন্যদানকারী জননীর ক্ষেত্রেও। শিশু দুধ পান করার কারণে তাদের শরীর খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তাদের সহায়তা ও সহযোগিতা করা শুধু সওয়াবের বিষয়ই নয়, বরং মানবতাও বটে।

শিশুদেরকে রোযায় অভ্যস্ত করি
সন্তানদেরকে ইবাদত ও আমলের প্রতি উদ্ধুদ্ধ করা এবং ছোট থেকেই তাদের আমলের অভ্যাস গড়ে তোলা পিতা-মাতার দায়িত্ব। এটা পিতা-মাতার জন্য সাদকায়ে জারিয়া। যদিও প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত শিশুর উপর শরীয়তের কোনো আমলই ফরয হয় না তবে আমলের অভ্যাস করার জন্য আগ থেকেই তাদেরকে আমলের প্রতি উৎসাহী করে তোলা ভাল। যেমন, রোযা ফরয হওয়ার পূর্বে দু’একটা করে রোযা রাখলে ফরয হওয়ার পর তাদের জন্য রোযা সহজ হয়ে যায়। নিজেদেরকে সহজেই রোযার সাথে মানিয়ে নিতে পারে। তাছাড়া রোযা রাখার দ্বারা শিশুরাও সংযমী হয়ে উঠে। নামায ও অন্যান্য নফল ইবাদতের প্রতিও আগ্রহী হয়ে উঠে। দেখবেন, যে শিশুটি অন্য সময় নামায পড়ে না, সে যদি রোযা রাখে তখন সে-ও নামায পড়া শুরু করে। বাজে আড্ডায় সময় নষ্ট করে না। অযথা দুষ্টুমিতে মেতে উঠে না। এই যে সংযমীভাব এটাও রোযার বরকত। তাই বড়দের উচিত শিশুদেরকে রোযার ফযীলত শুনিয়ে তাদের রোযার প্রতি উদ্ধুদ্ধ করা। সাহরির সময় একটু কষ্ট করে হলেও তাদেরকে জাগিয়ে দেওয়া। এটা অবশ্যই তাদের প্রতি কল্যাণকামনা।

দেখুন সাহাবায়ে কেরাম কীভাবে শিশুদেরকে রোযা রাখাতেন। আসলে নেক আমলের যে কী লাভ তা তারাই পূর্ণরূপে উপলব্ধি করেছেন। এক হাদীসে আছে-
আমরা আমাদের শিশুদেরকে রোযা রাখাতাম এবং তাদের জন্য উনের খেলনা বানিয়ে দিতাম। যখন তারা খাদ্যের জন্য কাঁদত তাদের সেই খেলনা দিতাম। এভাবে ইফতারের সময় হয়ে যেত। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৬০)

এটা ছিল ইবাদাতের প্রতি সাহাবায়ে কেরামের আগ্রহ ও সন্তানদের প্রতি কল্যাণকামনার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তারা চাইতেন সন্তানরাও রমাযানের বরকত লাভ করুক। তবে রোযা রাখতে গিয়ে যেন শিশুদের অতিরিক্ত কষ্ট না হয়, সেদিকে অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে।

দানের মাধ্যমে রোযাদারের সহায়তা করি
দানশীলতা একটি মহৎ গুণ। দানের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার দেওয়া সম্পদের শুকরিয়া আদায় হয়। দানে সম্পদ বাড়ে। মাহে রমাযানের দানের ফযীলত অনেক বেশি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও মাহে রমাযানে অধিক হারে দান করতেন। এক হাদীসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল আর রমাযানে তাঁর দানশীলতা আরো বেড়ে যেত। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ৫০)

দান-সদকার হকদার যে কাউকেই দান করলে এ মাসে দানের বরকত ও সাওয়াব লাভ করা যাবে। তবে মাহে রমযানে সারাদিন রোযা রাখার পর ইফতার করার জন্য একটু পানি ছাড়া যাদের কিছুই জুটে না, রাতে সাহরীর খাবারে যারা ভাল কিছু খেতে পায় না, যারা কারো সামনে হাতও বাড়াতে পারে না, এমন লোকদেরকে গোপনে দান করলে অবশ্যই অধিক সাওয়াব পাওয়া যাবে। তা যে কেউ হোক, আপনার নিকটাত্মীয়, পাড়া-প্রতিবেশী অথবা পরিচিতজন। এমন অসহায় ও গরীবকে দান করলে একসাথে দান ও রোযাদারের কষ্ট লাঘব, উভয় সওয়াবই পাওয়া যাবে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও সহযোগিতার এ মাসে রোযাদারের সহায়তা করে যেদিন আল্লাহ ব্যতিত কেউ সহায় থাকবে না সেদিন আল্লাহর সাহায্যের ভাগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমীন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে