মায়ের পাশে সমাহিত হবেন এন্ড্রু কিশোর
নিজস্ব প্রতিবেদক : না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার খবরে রাজশাহীজুড়ে শোকেব ছায়া নেমে এসেছে। দেশের প্লেব্যাক সম্রাট কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর প্র্রায় ১০ মাস ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে সোমবার ৬ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি আটবার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী।
শুধু রাজশাহী নয় তার মৃত্যুতে সারাদেশের সংগীতপ্রেমীদের মনে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে।
রাজশাহীর মহিষবাথানে বোন শিখা বিশ্বাসের বাড়িতে গত ২০ জুলাই থেকে ছিলেন তিনি। এই বাড়িতেই কাটলো তার জীবনের শেষ দিনগুলো। এ খবর জানতেন এলাকাবাসী। তাই প্রিয় শিল্পীকে কাছ থেকে এক পলক দেখতে সবাই ভিড় করছেন এন্ড্রু কিশোরের বোন শিখা বিশ্বাসের বাড়ির সামনে।
ওস্তাদ আব্দুল আজিজ বাচ্চুর কাছে গান শিখতেন এন্ড্রু কিশোর। পরে ২০১২ সালে ওস্তাদের নামে একটি স্মৃতি সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন এই কিংবদন্তি সংগীত শিল্পী। এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। প্রিয় শিল্পীকে দেখতে এসেছেন এই সংগঠনের অন্য সদস্যরাও। এসেছেন শিল্পীর ছোটবেলার বন্ধুরা। ভিড় করছেন সাধারণ মানুষও। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবাইকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে শিল্পীর পরিবারের পক্ষ থেকে।
এন্ড্রু কিশোরের বোনজামাই ডা. প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, বর্তমানে শিল্পীর মরদেহ রাজশাহীর একটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। তার ছেলে ও মেয়ে অষ্ট্রেলিয়ায় থাকেন। তারা আসলে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাকে তার মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে।
মৃত্যুর আগে এন্ড্রু কিশোর নিজেই বলে গেছেন তাকে যেন মায়ের পাশেই সমাহিত করা হয়। সেই ইচ্ছায়ই মায়ের পাশেই তাকে সমাহিত করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। তবে কখন এটা এখনো ঠিক করা হয়নি।
৯ মাস পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন এন্ড্রু কিশোর ১১ জুন রাত আড়াইটার একটি বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরেন। তারপর ঢাকার বাসায় বেশকিছু দিন অবস্থান করে শরীরের অবস্থা বিবেচনায় ও কোলাহলমুক্ত থাকতে তিনি রাজশাহী চলে আসেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ক্যান্সারে (নন-হজকিন লিম্ফোমা) আক্রান্ত হয়ে ৯ মাস সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে বোনের বাসাতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই গুণি শিল্পী।
এদিকে বাংলাদেশের কিংবদন্তি ও বরেণ্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর এর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজশাহীজুড়ে। তার মৃত্যু দেশের সংগীত অঙ্গনে অপূরনীয় ক্ষতি।