করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে মডার্নার টিকা ব্যবহারের সুপারিশ

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৮, ২০২০; সময়: ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ |
করোনার দ্বিতীয় ভ্যাকসিন হিসেবে মডার্নার টিকা ব্যবহারের সুপারিশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : রোনাভাইরাসের দ্বিতীয় টিকা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে মডার্নার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন।

বৃহস্পতিবার জরুরি ব্যবহারের জন্য টিকাটি অনুমোদনের সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)। অনুমোদন পেলে ফাইজার-বায়োএনটেক টিকার পর এটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ভ্যাকসিন। খবর রয়টার্স ও আলজাজিরার।

এফডিএ জরুরি চিকিৎসায় মডার্নার টিকা ব্যবহারের সুপারিশ করেছে। এই টিকা দ্রুত করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কাজ করবে বলে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন।

আশা করা হচ্ছে, শুক্রবারের মধ্যেই টিকাটির অনুমোদন দেবে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে দেশটিতে মডার্নার টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।

এরইমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রথমবারের মতো ফাইজারের টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। গত সপ্তাহে এফডিএ টিকাটির ব্যবহারে অনুমোদন দেয়।

মডার্নার টিকার অনুমোদনের বিষয়ে উপদেষ্টা কমিটির ভোটাভুটিতে ২০ জন বিশেষজ্ঞ ভোট দেন। তারা সবাই টিকাটির ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়ার সুপারিশ করেন। তাদের মতে, ১৮ ও এর চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য টিকাটি ঝুঁকিপূর্ণ না।

এর আগে মডার্না তাদের এ টিকার কার্যকারিতা ৯৪ শতাংশ বলে ঘোষণা করে। অনুমোদনের পর মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি থেকে ২০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা কিনছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অনুমোদন পেলে সঙ্গে সঙ্গে ৬ মিলিয়ন ডোজ সরবরাহ করবে সংস্থাটি।

ফাইজার ও মডার্নার তৈরি করোনা টিকার বৈশিষ্ট্য অনেকটাই একইরকম। তবে কয়েকটি মূল পার্থক্য রয়েছে। বিশেষ করে মডার্নার টিকাটির সংক্ষরণে অতিরিক্ত ঠান্ডার প্রয়োজন নেই। সাধারণ ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যাবে। এটি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য আরও সহজলভ্য বলে সংস্থাটি দাবি করেছে। আর বায়োএনটেকের টিকা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ ধরণের রেফ্রিজারেটর লাগবে। এটি মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াল কিংবা মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা লাগবে।

করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত যুক্তরাষ্ট্র। আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বেশি দেশটিতে। এদিকে ওয়ার্ল্ডোমিটারসের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৭৬ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মারা গেছে প্রায় ৩ লাখ ১৮ হাজার।

করোনায় বৈশ্বিক আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৭ কোটির বেশি। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৬ লাখ ৬৮ হাজার। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ কোটি ২৮ লাখ।

  • 17
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে