সুজানগরে সোনালী আশঁ কাটা ও ধোয়ায় ব্যস্ত কৃষক
এম এ আলিম রিপন, সুজানগর : কৃষি প্রধান এ দেশে এক সময়ের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট চাষে কৃষক দুরাবস্থার সম্মুখীন হলেও চলতি মৌসুমে সুজানগরে সোনালী আশেঁর দিন ফিরে আসতে শুরু করেছে।
সুজানগর পৌরসভা সহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় বর্তমানে পাট কাটা,জাগ দেওয়া ও পাটকাঠি থেকে পাট ছড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণীরা।
এবারে পাটের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের মুখে ফুঁটেছে হাঁসির ঝিলিক। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সময়মত পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়া ও গাজনার বিলে পানি না আসায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে মহা সংকটে থাকলেও বর্তমানে বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ায় এবং বিলে পানি আসায় পাট কেটে তা জাগ দিচ্ছে কৃষকেরা।
এ ছাড়া চাষীরা পাট কেটে নদী,নালা,খাল,বিল, ও ডোবায় জাগ দেওয়া,আশঁ ছড়ানো, এবং হাটে বাজারে তা বিক্রি করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে পাট থেকে আশঁ ছড়ানোর কাজ চলছে। খয়রান গ্রামের পাট চাষী মনজেদ আলী বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তবে পড়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফলন ভাল হয়েছে।
পাটের বর্তমান বাজারে কৃষকের লাভ হচ্ছে তবে শ্রমিকের মুল্য বেশি না হলে বেশি পরিমান লাভের মুখ দেখত কৃষকেরা । তাঁতিবন্দ গ্রামের কৃষক আজিবর বলেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর পাটের ফলন কম হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ৭ থেকে ৮ মণ পাট উৎপাদন হয়েছে।
রবিবার স্থানীয় পৌরহাটে গিয়ে দেখাযায় ভালমানের পাট ২২’শ টাকার উপরে এবং নিম্নমানের পাট ১৭’শ থেকে ১৮’শ টাকা মণ দরে বিক্রয় হচ্ছে। আর এবারে পাটের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় সংসারে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে আনার স্বপ্ন দেখছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
সুজানগর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রবীন সাংবাদিক আব্দুস শুকুর বলেন বিগত কয়েক বছর কৃষকরা পাট চাষ করে লোকসান খাচ্ছিল। ফলে এ অবস্থায় সুজানগরের কৃষকেরা পাট চাষ প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল। কিন্তু গত বছর এবং এবারে পাটের বাজার ভাল হওয়ায় সুজানগরের চাষীদের মাঝে পাট চাষে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
239