ফের শুরু হচ্ছে ১৫ বছর বয়সীদের নিবন্ধন কার্যক্রম

প্রকাশিত: আগস্ট ১২, ২০২১; সময়: ১২:২৪ অপরাহ্ণ |
ফের শুরু হচ্ছে ১৫ বছর বয়সীদের নিবন্ধন কার্যক্রম

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারীর এই সময়ে ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধনের আওতায় আনার উদোগ নিচ্ছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। সেক্ষেত্রে ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি ও তার আগে যাদের জন্ম তারা অনলাইনে এনআইডি সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে ১৮ বছর পূর্ণ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারা ভোটার তালিকাভুক্ত হয়ে যাবেন।

নির্বাচন কমিশনের কাছে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার এনআইডি উইংয়ের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. নুরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন। ২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। সংশোধন, স্থানান্তরসহ নিয়মিতভাবে নতুনদের যুক্ত এবং মৃতদের বাদ ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়।

সবশেষ ২০১৯ সালে একসঙ্গে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের নিবন্ধন করা হয়। ১ জানুয়ারি ২০০৪ সাল ও তার আগে যাদের জন্ম তাদের নিবন্ধনের আওতায় আনা হয়।

২০২২ সালে তাদের অনেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকাভুক্ত হবে। বর্তমানে দেশে ১১ কোটি ১৭ লাখেরও বেশি ভোটার রয়েছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গেল বছর এপ্রিল থেকে ইসির এনআইডি উইং অনলাইন সেবা চালু করে।

করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয় এ বছর। নানা বয়সীদের টিকা নিবন্ধনের আওতায় আনে সরকার। সবশেষ ১৮ বছরবয়সীদেরও টিকা দেওয়ার উদ্যোগ চলছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ারও প্রক্রিয়া শুরু হয়। নাগরিক সেবার পাশাপাশি টিকা নেওয়ার কাজে নাগরিকদের সুবিধার্থে নতুন করে ভোটার নিবন্ধনের উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

এনআইডি উইংয়ের পরিচালক নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সোমবার এনআইডি ডিজি মহোদয় একটা সভা করেছেন। ১ জানুয়ারি ২০০৬ বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের নিবন্ধন করার উদ্যোগ নিতে সভায় আলোচনা হয়েছে। কমিশনের কাছে এ প্রস্তাবটা গেছে। এ উদ্যোগ মাননীয় নির্বাচন কমিশন বিবেচনা করবেন।

তিনি জানান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে না। প্রচারণা করা হবে। অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন নাগরিকরা। অনলাইনে থাকতে চাই আমরা। অনলাইনে আবেদন করলে নতুন করে ফরম পূরণ করতে হবে না। ভেরিফাই করে আঙ্গুলের ছাপসহ নিবন্ধন করে নেওয়া হবে। নিবন্ধিত হলেই এনআইডি নম্বর পাবেন সংশ্লিষ্টরা।

ইসির এ কর্মকর্তা জানান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনে এনআইডি পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের কোনো বয়সসীমা উল্লেখ নেই। নিবন্ধিত হলেই এনআইডি পাবেন তারা। শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার উদ্যোগও রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইসির উদ্যোগও কাজে লাগবে।

নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ১৮ এর কমবয়সীরাও কিন্তু এনআইডি পাচ্ছেন। ভোটার না হলেও এনআইডি নম্বর পেয়ে যাচ্ছে। এখন এনআইডিটা জরুরি। ১৮ বছর হলেই তারা ভোটার তালিকাভূক্ত হয়ে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের নিবন্ধন করা হয়েছে সবশেষ হালনাগাদে। এবার আরও দুই বছর যুক্ত হলে ৩০-৪০ লাখের মতো নতুন ভোটার যুক্ত হতে পারে।

  • 97
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে