কর্ণফুলি টানেলের ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের মাটির নিচ দিয়ে বোরিং মেশিনের মাধ্যমে দ্বিতীয় টিউবের খনন কাজ শেষ হয়েছে। প্রথম টিউব খনন করতে যে সময় লেগেছিল তার সাত মাস আগেই শেষ হয়েছে দ্বিতীয় টিউবের কাজ। ইতোমধ্যে টানেলের সার্বিক ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী টানেলের মাটির নিচ দিয়ে দ্বিতীয় টিউবের বোরিং মেশিনের মাধ্যমে খনন কাজ শেষ। বোরিং মেশিনের মাধ্যমে প্রথম টিউবের কাজ শেষ করতে সতেরো মাস সময় লেগেছিল। কিন্তু আনোয়ারা প্রান্ত থেকে খনন কাজ শুরু করে পতেঙ্গা প্রান্তে এসে দ্বিতীয় টিউবের কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে দশ মাস। দুটি সুড়ঙ্গের কাজ শেষ হওয়ার মাধ্যমে টানেলের জটিল অংশের কাজ শেষ।
এখন বাকি রাস্তা তৈরি ও অন্যান্য কাজ। নদীর তলদেশ দিয়ে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার।
নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন দেশের প্রথম টানেলের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার। এর মধ্যে টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। দুই সুড়ঙ্গে দুটি করে চারটি লেন থাকবে। বর্তমানে টানেলের ৭৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, পুরোদমে কাজ চলছে। ২০২২ সালের মধ্যেই আমরা কাজ শেষ করতে পারবো। শুধু টানেল নয়, সংযোগ সড়কগুলোরও কাজ দ্রুত শেষ করা দরকার বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদ।
নগর পরিকল্পনাবিদ আশিক ইমরান বলেন, বিদ্যমান সড়কটিকে প্রশস্ত করার প্রস্তাব এসেছে। আশা করি টানেলের সুফল আমরা ঠিকমতই পাবো।
এই টানেলের কাজ শেষ হলে নদীর ওপারে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাথে কানেক্টিভটির মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ী নেতারা। ২০১৯ সালে ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।