নন্দীগ্রামে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নাড়ু বানানোর ধুম

প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১; সময়: ৯:০৯ অপরাহ্ণ |
নন্দীগ্রামে দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে নাড়ু বানানোর ধুম

অদ্বৈত কুমার আকাশ, নন্দীগ্রাম : হিন্দু ধর্মাবলীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। বগুড়ার নন্দীগ্রামের প্রতিটি মন্ডপে এ উৎসবের আয়োজন চলছে পুরোদমে। এর ধারাবাহিকতায় নন্দীগ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন নাড়ু বানানোর ধুম পরেছে।

দুর্গাপূজার প্রধান আর্কষণ গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী মজাদার খাবার নাড়ু, মোয়া ও মুড়কি। পূজার সময় আত্নীয়-স্বজন বাড়ীতে বেড়াতে এলে তাদের আপ্যায়নের জন্য খেতে দেওয়া হয় সুস্বাদু নাড়ু, মোয়া ও মুরকি। পূজা আসতে বাঁকি আর দুই দিন। এজন্য বাড়ীর বউ-ঝিদের দম ফেলানোর সময় নেই এখন। তাইতো কেনা-কাটা ও ধোঁয়া-মোছার সাথে নাড়ু বানানোর কাজও চলছে খুব জোরে সরে।

কথা হয় নন্দীগ্রাম পৌর এলাকার কলেজ পাড়ার গৃহীনি অঞ্জনা রানীর সাথে। সে বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আমরা প্রতিবছর অনেক ধরনের নাড়ু-বরি তৈরি করি। এর মধ্যে রয়েছে, তিলের নাড়ু, নারিকেলের নাড়ু, দুধের নাড়ু, গঙ্গাজলির নাড়ু, খই, মুড়কি, মুড়ির মোয়া, চানাচুরের মোয়া, ভেটের খইয়ের মোয়াসহ বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করে থাকি।

আরেক গৃহীনি বিনা রানী বলেন, তিলের নাড়ু তৈরির জন্য প্রয়োজন তিল, গুড়, ঘি, জল ও খোসা ছারানো বাদামভাজা। প্রথমে তিল হালকা ভেজে নিতে হবে। এরপর চুলায় জল ও গুড় দিতে হবে। মিশ্রণ ঘন আঠালো হয়ে এলে তিল ও বাদাম দিয়ে ঘন ঘন নাড়তে হবে। একটু নেড়েচেড়ে নামিয়ে গোল গোল করে বানিয়ে ফেলতে হবে তিলের নাড়ু। প্রতিটি নাড়ু বানানোর সুবিধার জন্য হাতে ঘি বা তেল মেখে নিলে ভালো হয়। এতে নাড়ু বানানোর সময় হাতে আঠা ভাব লাগবে না।

নারকেলের নাড়ু তৈরির জন্য প্রয়োজন কুড়ানো নারকেল, গুড় ও এলাচগুঁড়া। প্রথমে কুড়ানো নারকেল ও গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে বাদামি রং না হওয় পর্যন্ত ভাজতে হবে। পরে এলাচগুঁড়া মেশাতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে কড়াই চুলা থেকে নামিয়ে গরম থাকতে থাকতে নারকেলের খামি হাতে নিয়ে গোল গোল করে নাড়ু তৈরি করতে হবে।

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে