হোয়াটসঅ্যাপে তথ্য ফাঁস হওয়া আটকাবেন যেভাবে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ব্যক্তিগত মেসেজিং বা চ্যাটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বা অ্যাপ হলো হোয়াটসঅ্যাপ। যদিও এটির তথ্যসুরক্ষা লঙ্ঘন নিয়ে বারবার খবরের শিরোনামে এসেছে হোয়াটসঅ্যাপ। অপরদিকে, মেসেজ অ্যান্ড টু অ্যান্ড এনক্রিপটেড বলেই দাবি করে এসেছেন এর নির্মাতারা। যদিও হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ লিক হওয়া আটকাতে সতর্ক হতে হবে আপনাকেই।

হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে গ্রাহকদের। জনপ্রিয় এই সোশাল মিডিয়া মারফত অপরাধীদের সংস্পর্শে এলে বা আপত্তিজনক কন্টেন্ট আদান-প্রদান করলে অথবা বেআইনি কোনো কাজকর্ম নিয়ে টেক্সটিংয়ে লিপ্ত থাকলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে পড়বেন আপনি।

মনে রাখতে হবে, হোয়াটসঅ্যাপসহ বাকি সমস্ত অ্যাপের তথ্য আমাদের ফোন বা ক্লাউড ড্রাইভে ব্যাক আপ করা থাকে। তাই কোনো তদন্তের স্বার্থে চাইলেই তা সরকারি গোয়েন্দা সংস্থারা বের করতে পারেন।

আপনার ফোন যদি কোনো তৃতীয় ব্যক্তির হাতে গিয়ে পড়ে, সেক্ষেত্রেও তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে একশো গুণ। তৃতীয় যে কারণটির জন্য আপনার হোয়াটসঅ্যাপ তথ্য ফাঁস হতে পারে তা হলো দেদারসে অ্যাপ ডাউনলোড করা। গ্রাহকেরা অনেক সময় অজান্তেই এমন কিছু অ্যাপ ডাউনলোড করে থাকেন যাতে ম্যালওয়্যার থাকে। যার জেরে ব্যাংক থেকে টাকা কেটে নেওয়া থেকে শুরু করে, ব্যক্তিগত তথ্যও ফাঁস হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

গুগল বা অ্যাপল প্লে স্টোর থেকেও ম্যালওয়্যার ডাউনলোড হতে পারে। যা দেখে কার্যত আসল-নকল বোঝার উপায় থাকে না। সম্প্রতি এমনই একটি উদাহরণ হল স্ক্যুইড গেম। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক অতীতে শুধুমাত্র ম্যালওয়্যারের কারণে প্লে স্টোর থেকে দেড়শো অ্যাপ সরিয়ে দিয়েছে গুগল। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মাথায় রাখতে পরামর্শ দিচ্ছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা।

১) হোয়াটসঅ্যাপে অপরাধমূলক কোনো কথোপকথন না করাই ভালো। ড্রাগস, পর্নোগ্রাফি, যৌন নির্যাতনসহ বিষয়গুলি নিয়ে কথোপকথন করা উচিত নয়।
২) হোয়াটসঅ্যাপ মারফত নিজের বা অপরের কোনো আপত্তিজনক ফটো না আদান-প্রদান করাই ভালো।
৩) হোয়াটসঅ্যাপে কোনো আর্থিক লেনদেনের কথা প্রকাশ্যে না আনাই ভালো।
৪) হোয়াটসঅ্যাপে নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান বিশদে ব্যাখ্যা না করতেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
৫) ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিশদ বা অন্যান্য ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার না করাই ভালো।