কচুয়ায় জমজমাট ভাসমান ধানের চারার হাট

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২; সময়: ১০:৪২ পূর্বাহ্ণ |
খবর > কৃষি
কচুয়ায় জমজমাট ভাসমান ধানের চারার হাট

মাসুদ রানা,কচুয়া : চাঁদপুরের কচুয়া-সাচার-গৌরিপুর মহাসড়কের পাশে সাচার বাজারে জমজমাট বসেছে ভাসমান চারা বিক্রির হাট। রোপা-আমন মৌসুমকে সামনে রেখে কচুয়ায় বসেছে ঐতিহ্যবাহী ধানের চারার হাট।

বিভিন্ন জাতের ধানের চারা নিয়ে কৃষক ও ব্যাপারিরা হাটে আসছেন। উৎপাদন খরচের চেয়ে কমে চারা কিনতে পারায় দূর-দূরান্ত থেকেও ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা চারা সংগ্রহ করতে সেই হাটে আসছেন।

স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে মতে, চলতি মৌসুমে কচুয়া উপজেলা ৫০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ মৌসুমে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে বীজতলা তৈরি হওয়ায় চারা নিয়ে সংকট হবে না। রোপা-আমন মৌসুমকে সামনে রেখে কচুয়ার বিভিন্ন বাজারে বসেছে ধানের চারার হাট।

এ হাট চলে, সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। বীজতলা থেকে উৎপাদিত চারা আসছে হাটে। সেখান থেকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সংগ্রহ করছেন কাঙ্খিত চারা।

উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকেও অনেকে আসেন চারা বিক্রি করতে। এসব চারা উপজেলার চাহিদা মিটিয়েও বিভিন্ন বিভিন্ন উপজেলায় বিক্রি হচ্ছে। বেচা-কেনা সন্তোষজনক হলেও হাটের জন্য নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় ব্যবসায়ী ও কৃষকদের ভোগান্তি বাড়ছে।

প্রতি বছরের মত এবারও সাচার,পালাখাল,রহিমানগর,জগতপুর বাজারে ধানের চারার হাট জমে উঠেছে। হাটে মিলছে খাসা, নাজিরশাইল, বীনা-৭, বীনা-২২ ও গাইন্ধার,ব্রি-২৮,ব্রি-২৯ ধান জাতের চারা।

বাজারে আসা কৃষক আবুল হোসেন,বাসার ও বিল্লাল হোসেনসহ একাধিক কৃষকরা জানান, প্রতি শনি ও মঙ্গলবার চারা বিক্রি হয় সাচার বাজারে। তবে পাইকার ও কৃষক তেমনটা নিচ্ছেন না চারা। অধিকাংশ কৃষকরা তাদের নিজের বীজতলা তৈরি করে বোরো ধান চাষাবাদ করেন। বাজারে ক্রেতা খুবই কম বলেও জানান তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোফায়েল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে এবছর কচুয়াতে ৭৩০ হেক্টর বীজতলা ধানের চারা লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। চারা উৎপাদনে কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে