গুরুদাসপুরে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২২; সময়: ৯:২১ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
গুরুদাসপুরে ভুট্টা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে

এসএম ইসাহক আলী রাজু, গুরুদাসপুর : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় এখন মাঠ জুড়ে যেন সবুজের সমারহ। গাছের মাথায় লাল ফুল, গাছে গাছে হলুদ বর্ণের ভুট্টাধরতে শুরু করেছে। বাতাসে দোল খাচ্ছে ওই সকল গাছগুলো। কম খরচে অধিক ফলন পাওয়ায় ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে এলাকার কৃষকদের। গম, ধান, রসুন, বাঙ্গী-তরমুজ চাষের পাশাপাশি কৃষকরা ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন বেশী।

যে কারণে গুরুদাসপুরে ভুট্টার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভুট্রা চাষ লাভজনক হওয়ায় বিভিন্ন জাতের ভুট্টা আবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগের মাঠকর্মীরা কৃষকদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণসহ মাঠে গিয়ে উন্নত পদ্ধতিতে বীজ বপনে সহযোগিতা করছেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকদের সভার মাধ্যমে ভুট্টা চাষের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষকরা ভুট্রা চাষে বেশি উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। চলতি মৌসুমে গুরুদাসপুর উপজেলায় টাটা ২৭৯৬, এসকে ৪০, প্যাসিফিক, মুকুট, এলিট, সুপার ফাইন জাতসহ সব ধরনের ভুট্টার আবাদ হচ্ছে। চলনবিলের গুরুদাসপুরে ভুট্টার ভালো কদর রয়েছে দেশ জুড়ে। এজন্য উপজেলার উৎপাদিত ভুট্টা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়।

গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট উইনিয়নের যোগেন্দ্র নগরের ভুট্রা চাষী মোঃ ইয়াকুব মন্ডল, নাজিরপুর ইউনিয়নের মাসুম ও বাবুল, খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রামের বাবলু, কালাকান্দোরের আব্দুল মান্নান, মশিন্দা ইউনিয়নের কান্দিপাড়ার রেজাউল করিম রঞ্জু, ধারাবারিষা ইউনিয়নের মোঃ সোবাহান জানান, তারা প্রতি বছর ভুট্টা আবাদ করে থাকেন এবং আবাদের পরিধিও বাড়াচ্ছেন। তারা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি গত কয়েক বছর ধরে ভুট্টা আবাদ করছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভুট্টা আবাদের ওপর তেমন কোন প্রভাব পড়ে না এবং উৎপাদন খরচ অর্থাৎ সার, সেচসহ অন্যান্য খরচ কম হওয়ায় ভুট্টা চাষে তাদের মতো অনেক কৃষক দিন দিন আগ্রহী হয়ে ওঠছেন। এই এলাকার ভুট্টার দানা এবং রঙ ভালো হওয়ায় বাজারে চাহিদা অনেক বেশী। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চাষিদের কাছ থেকে সরাসরি ভুট্টা কিনেন।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ জানান, পনোদানা পূণঃবাসন কর্মসুচির প্রকল্পের ৩৪০ জন কৃষকে সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহ করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে গুরুদাসপুর উপজেলায় ৮শ’১০ হেক্টোর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৮হাজার ৫শ’ মেট্টিকটন। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি জানান।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে