গুরুদাসপুরে আম-লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২২; সময়: ২:৩৮ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
গুরুদাসপুরে আম-লিচুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

ইসাহক আলী রাজু, গুরুদাসপুর : আম কুড়ানোর সময় এখনও আসেনি। তবে বাগান গুলোতে মুকুলের ঘ্রাণ শেষে ধরতে শুরু করেছে আম আর লিচুর গুটি। চৈত্র মাসের শেষের দিকে থোকায় থোকায় দুলছে আম আর লিচুর গুটি।

গাছের কচি ডগা ভেদ করে সবুজ পাতার ফাঁকে সবুজ রঙের ছোট বড় গুটিগুলো যেন দোল খাচ্ছে সমিরনের তালে তালে। সেই সোনালী ফলের আশার স্বপ্ন দেখছেন গুরুদাসপুর উপজেলার বাগান মালিকরা।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিভিন্ন বাগান ও বাড়ির আশপাশের সর্বত্র আম ও লিচু গাছগুলো সবুজ ফল নিয়ে সেজেছে এক অপরুপ সাজে। আর কয়েক দিনের মধ্যে আম ও লিচুর ছোট গুটিগুলো পরিণত হবে এক পরিপূর্ণ দানায়। সেই সোনালি স্বপ্নকে বুকে ধারন করেই বাগান পরিচর্যায় ব্যাস্ত রয়েছেন উপজেলার আম ও লিচু বাগান চাষীরা।

গুরদাসপুর উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানাযায়, এ বছর শুধু মাত্র গুরুদাসপুরেই ৪১০ হেক্টর জমিতে লিচু এবং ১৯২ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ আম-লিচুর বাগানেই গুটিগুলো পরিপূর্ণ দানায় রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে। বাগান মালিক,কৃষিবিদ ও চাষিরা আশা করেছেন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এবছরও আম ও লিচুর বাম্পার ফলন হবে।

গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের লিচুর বাগান মালিক সাখাওয়াত আলী মোল্লা জানান, আমার প্রায় লিচু ও আমসহ ছোট বড়মিলে ১৫টি বাগান রয়েছে। বাগানের গাছগুলোতে পরিচর্যা কাজ করছেন ২০ জনের মতো শ্রমিক।

গাছের মুকুল থেকে শুরু করে নতুন গুটির যেন কোন প্রকার সমস্যা না হয় সে জন্য সার্বক্ষনিক ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক সারাক্ষণ কর্মরত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে, বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূযোর্গ না হলে চলতি মৌসুমে আম লিচুর ভালো ফলন হবে।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনর রশিদ জানান, আম-লিচু চাষে কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। গাছে মুকুল আসার আগে এবং গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জৈব বালাইনাশক ও ফেলোমন ফাঁদ ব্যবহার করে আম লিচুসহ অন্যান্য ফসল চাষে কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে