কেশরহাটে ত্বীন ফল চাষে সফলতা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২১, ২০২২; সময়: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ |
খবর > কৃষি
কেশরহাটে ত্বীন ফল চাষে সফলতা

রায়হানুল হক রিফাত : পবিত্র কোরআনে আত ত্বীন সূরায় বর্ণিত মরুভূমির মিষ্টি ফল ত্বীন এখন চাষ হচ্ছে মোহনপুরের কেশরহাটে। উপজেলার কেশরহাট টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ এজাহারুল হক নিজ উদ্যোগে কলেজের পাশে নিজ জমিতে এই ফল চাষ শুরু করেছেন।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলেজের পূর্ব পাশের আবাদী জমিতে ছোট ছোট গাছ গুলো জুড়ে সারি সারি ত্বীন ফল ধরে আছে। ত্বীন ফল গুলো কাঁচা অবস্থায় সবুজ বর্ণের হয়ে আছে, যা পাকলে লাল ও মেহরুন কালারের হবে। বর্তমানে ফল দেখতে ভিড় করছেন ইসলাম ধর্মের শতার্ধিক মুসলিমরা। সঠিক পরিচর্যা দ্রুত ফল পেয়ে খুশি অধ্যক্ষ এজাহারুল হক।

তিনি বলেন, আমি পেয়ারা বিক্রেতা আলমঙ্গীরের মাধ্যমে ত্বীন ফলের চারা সংগ্রহ করি। এরপর যত্ন সহকারে কলেজের পাশে আমার ৯ শতক আবাদী জমির মধ্যে রোপন করে অবসর সময়ে নিয়মিত পরিচর্যা করে যাচ্ছি। মাত্র ৪ মাসের ব্যবধানে আমার লাগানো গাছে ত্বীন ফল পেয়েছি। আগামী ২ মাস পর ফল গুলো পাকলে ফলের স্বাদ উপভোগ করতে পারবো।

চারা সরবারাহকারী আলমঙ্গীর বলেন, আমি সাইজ অনুস্বারে এখানে সহ কয়েক স্থানে ৫০০-৮০০ টাকায় ত্বীন ফল গাছের চারা চুয়াডাঙ্গা থেকে এনে সরবারহ দিয়েছি। সবাই চাষ করে ফল পেতে শুরু করেছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে কেশরহাটে নিজস্ব ভাবে এর চারা প্রতিনিয়ত বিক্রিয় করতে জমি প্রস্তুত করেছি।

কেশরহাট টেকনিক্যাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষানুরাগী সদস্য রুস্তম আলী প্রাং বলেন, ত্বীন পাকা ফল খেতে বেশ সুস্বাদু ও মিষ্টি। এতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও ক্যালিসিয়ামসহ নানা ভেষজ গুণ। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য ও হাঁপানি রোগ নিরাময়েও সহায়তা পাশাপাশি মানসিক ক্লান্তি দূর করে। কলেজের পাশে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এবিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে যুব সমাজের উন্নয়ন ঘটাবে বলে আমি মনে করছি।

মোহনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রহিমা খাতুন বলেন, ত্বীন একটি সম্ভাবনাময় ফসল, যা চাষ করে দেশের বেকরাত্ব দূর এবং রপ্তানি করে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। ত্বীন গাছে রোগ-জীবাণু সংক্রমণের মাত্রা একদমই কম। কেউ ত্বীন ফল চাষ করতে আগ্রহী হলে আমরা সর্বদা পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করবো।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে