‘দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা’

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২; সময়: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ |
‘দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুজানগর : আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, আওয়ামীলীগ এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা । সকল ষড়যন্ত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে । সেই নির্বাচন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনকালীন সরকার ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে কে অংশগ্রহন করলো আর কে করলো না সেটা দেখার বিষয় নয়। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

তিনি বলেন,বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করতে পারবে না, করলেও সাধারণ মানুষ সেই সেতু দিয়ে চলাচল করবে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো এরকম প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হয়।

শনিবার পাবনার সুজানগর এন এ কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতা বিরোধী অশুভ রাজনৈতিক দলগুলো যদি ফের রাজপথ দখলের অপচেষ্টা করে, দেশে নতুন ভাবে নৈরাজ্য তৈরির অপচেষ্টা করে অথবা রাজপথ দখলের নামে মানুষ পোড়ানোর অপচেষ্টা করে; তাহলে তাদের দাতভাঙা জবাব দিতে হবে। এজন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের চোখ-কাল খোলা রাখতে হবে।

আব্দুর রহমান বলেন, ৭৫’এ ১৫ আগস্ট এর পর পিতা হারানোর বেদনা ও কষ্ট নিয়ে দেশের মাটিতে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সারা বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রিয় নেত্রীকে এক নজর দেখার জন্য ছুটে এসেছিলেন। সেদিন বুকভরা কষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমার জীবনে কখনও আমি ভাবি নাই রাজনীতিতে আমাকে আসতে হবে। কখনও ভাবি নাই পিতা হত্যার বিচার করতে আমার জীবন উৎসর্গ করতে হবে। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ওই খুনীদের বিচার বাংলার মাটিতে আমি করব।

বলেছিলেন, আমার বাবা (বঙ্গবন্ধু) যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন করতে চেয়েছিলেন, আমি তা বাস্তবায়ন করব। আজ তিনি যে স্বপ্ন নিয়ে অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কোনো ষড়যন্ত্র যেনো বাঁধা হয়ে দাড়াতে না পারে, সেজন্য আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কোনো ষড়যন্ত্র শেখ হাসিনার এই উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাঁধাগ্রস্ত করতে পারবে না।তিনি বলেন, ৭৫’এ ১৫ আগস্ট। ভোরের সূর্য তখনও আমাদের ঘরে পৌঁছায়নি। ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা শুনেছিলাম আমাদের পিতা বঙ্গবন্ধু আর নেই। তার লাশ ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে পড়ে ছিল।

সেদিন ইতিহাসের রক্তাক্ত বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা আমরা দেখেছিলাম। হত্যার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ডাক পাইনি। অনেক যন্ত্রণা, বেদনা, কষ্ট ও আর্তনাত বুকে চেপে রেখেছিলাম। সেদিন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে বাংলাদেশের বুকে গুলি করা হয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেতনাকে বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শকে হত্যা করা হয়েছিল।আব্দুর রহমান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে জিয়াউর রহমান সরাসরি জড়িত ছিল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে পকিস্তানের আদলে তৈরির ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত করেছিল। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। জিয়া জানতো না তাকেই নিষ্ঠুর হত্যার কাণ্ডের শিকার হতে হবে। এমন ভাগ্য বরণ করতে হবে। তার লাশও সেদিন পাওয়া যায়নি। এর আগে সকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল।

উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ আব্দুল ওহাবের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির ও সংরক্ষিত মহিলা আসন-৪২ এর সংসদ সদস্য নাদিরা ইয়াসমিন জলি। অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড.মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান উজ্জল, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য আশিকুর রহমান খান সবুজ, জেলা আ.লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আহাদ বাবু, প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, পাবনা সদর উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীন, সুজানগর পৌর মেয়র রেজাউল করিম রেজা, বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু, বেড়া পৌর মেয়র আসিফ শামস রঞ্জন, আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম, চাটমোহর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ মাষ্টার, স্থানীয় আ.লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম শাহজাহান,আব্দুল জলিল বিশ্বাস,আব্দুল কাদের রোকন, আব্দুল মতিন মৃধা, আমিনপুর থানা আ.লীগের সভাপতি ইউসুফ আলী খান,সুজানগর পৌর আ.লীগের সভাপতি ফেরদৌস আলম ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মিলন প্রমুখ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পৌরসভার সাবেক মেয়র আলহাজ মো.আব্দুল ওহাবকে সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল রহিম লাল।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে