কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মা-মেয়ের মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার-কুমারখালীতে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় মায়ের মৃত্যুর প্রায় চার ঘণ্টা পর মারা গেছে মেয়ে জয়া (১১)। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়ার মৃত্যু হয়।
এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই ঘটনায় মারা যান মা রিনা খাতুন (৩২)। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নিহত জয়ার বাবা আশরাফুল ইসলাম জনি (৩৬)। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. মো. আশরাফুল বলেন, ‘মায়ের মৃত্যুর প্রায় চার ঘণ্টা পরে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জয়ার মৃত্যু হয়। তার বাবা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাঁর অবস্থা মোটামুটি ভালো। আশরাফুল ইসলাম জনি কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের সি ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন মোটরগাড়ি মেকার।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে জনি তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে পাংশার মাছপাড়া এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ি কুষ্টিয়া হাউজিংয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। আনুমানিক রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাঁরা কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় পৌঁছান। এ সময় একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে স্ত্রী রিনা খাতুনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় জনি ও তাঁর মেয়ে জয়া আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ের মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে আহত আশরাফুল ইসলাম জনি বলেন, ‘রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক মোটরসাইকেলে করে স্ত্রী ও দুই মেয়েসহ চারজন আসছিলাম। হঠাৎ একটি গাড়ি পেছন থেকে ধাক্কা দিলে আমরা সড়কে পড়ি। এতে ঘটনাস্থলেই আমার স্ত্রী মারা যায়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে জয়া মারা যায়।
চৌড়হাঁস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইদ্রিস আলী বলেন, ‘মোটরসাইকেলে চারজন ছিল। ঘটনাস্থলে স্ত্রী রিনা খাতুন মারা যান। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়ে জয়া মারা গেছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কাভার্ড ভ্যানটি টোলপ্লাজা এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছে।