নাঈমের সেঞ্চুরি ও সাব্বিরের ফিফটিতে জয় পেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২২; সময়: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ |
নাঈমের সেঞ্চুরি ও সাব্বিরের ফিফটিতে জয় পেল বাংলাদেশ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : এশিয়া কাপ দিয়েই সৌম্য সরকার জাতীয় দলে ফের যুক্ত হতে পারেন – এমন গুঞ্জনই শোনা গিয়েছিল। তাই তাকে পরখ করতে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে।

কিন্তু গুঞ্জন আর সত্যিতে রূপ নিল না। ১৭ সদস্যের এশিয়া কাপ দলে সাব্বির রহমানের ঠাঁই হলেও জায়গা পাননি সৌম্য।

এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও হাসছে না সৌম্যর ব্যাট। পরপর দ্বিতীয় ম্যাচে হতাশ করলেন এ বাঁহাতি ওপেনার।

তবে রানের দেখা পেয়েছেন আরেক ওপেনার নাঈম শেখ ও সাব্বির রহমান। সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন নাঈম আর ফিফটির দেখা পেয়েছেন সাব্বির।

আর এ দুজনের ব্যাটে ভর করেই উইন্ডিজের ‘এ’ দলকে ৪৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

বৃহস্পতিবার রাতে সেইন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাঈম শেখের ১০৩ ও সাব্বিরের ৬২ রানের ইনিংসে ভর করে ৬ উইকেটে ২৭৭ রানের সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।

২৭৮ রানের তাড়ায় ২৩৩ রানেই থেমে যায় স্বাগতিকরা। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ‘এ’ দলের বিপক্ষে ৪৪ রানের জয়ে সিরিজে সমতা ফিরেছে সফরকারীরা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই বোল্ড হন ওপেনার সৌম্য। কোনো ফুটওয়ার্ক না করে অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ব্যাট চালান সৌম্য। যা ব্যাটের ভেতরের কানায় লেগে সরাসরি আঘাত হানে স্টাম্পে। মাত্র ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটি গড়েন নাঈম। সাইফ ব্যক্তিগত ১৯ রান করে ফিরে গেলে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে জুটি বাঁধেন নাঈম। নাইম-মিঠুনের তৃতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৯৩ রান। মিঠুন সাজঘরে ফিরে যান ২৮ রান করে।

এর কিছুক্ষণ পর ৩৩তম ওভারে আউট হন নাঈম। তবে তার আগেই তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছে যান এ ওপেনার। ১৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন নাঈম।

এরপর দলের হাল ধরেন সাব্বির রহমান। শাহাদাত হোসেন দীপুর সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। দীপু ২৪ রানে থেমে গেলেও সাব্বির এগিয়ে যেতে থাকেন। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৬ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কার মারে ৫৮ বলে ৬২ রান করেন এ হার্ডটিার। উইকেটরক্ষক ব্যাটার জাকের আলি অনিক ১২ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। উদ্বোধনী জুটিতেই ৯৪ রান যোগ করেন তেজনারায়ণ চন্দরপল ও জশুয়া ডা সিলভা। কিন্তু মুকিদুল মুগ্ধ ও রেজাউর রহমান রাজার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যে ৪৪ রানের আগেই থামে ক্যারিবীয়রা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন অধিনায়ক জশুয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে তেজনারায়ণের ব্যাট থেকে। এছাড়া ব্রায়ান চার্লস ৩২ ও টেডি বিশপ করেন ৩১ রান।

৯ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মুকিদুল মুগ্ধ। ৪৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। এছাড়া রাকিবুল হাসান, সৌম্য সরকার ও খালেদ আহমেদ একটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে