রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে গরুর মাংস ও মাছের দাম

প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০২৩; সময়: ১:১৫ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীর বাজারে বেড়েছে গরুর মাংস ও মাছের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : রোজার পর থেকে রাজশাহীর কাঁচাবাজারে প্রায় সব পণ্যের দামই বাড়তি। তবে মাছ-মাংসের দাম ছিল নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই মাছ মাংসের দাম বেড়েছে। অন্য পণ্যের পাশাপাশি মাছ মাংসের দাম বাড়ায় হতাশ ক্রেতারা।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) নগরীর সাহেববাজার ঘুরে দেখা যায়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দামই স্থিতিশীল থাকলেও দাম বেড়েছে মাছ ও গরুর মাংসের। সবজির দাম গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে এ সপ্তাহে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাছ ও গরুর মাংসের দাম দাম লাগামছাড়া।

গরুর মাংস কিনতে আসা পারভিন জানান, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রেতারা ইচ্ছা করে গরুর মাংসের দাম বাড়িয়েছেন। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মতো গরীব মানুষ যারা মাসে একবার গরুর মাংস খায় তারা হয়তো ঈদেরও মাংস কিনে খেতে পারবেন না।

গরুর মাংস বিক্রেতা আইনাল জানান, হাটে গরুর দাম হঠাৎ বেড়ে গেছে। আগে যে গরু ৬০ হাজার টাকায় কিনেছি সে গরু গত কালকে ৭ হাজার টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। ব্যাপারিদের কাছে গরুর দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বলছেন খাবারের দাম বেশি হওয়ায় তারা গরুর দাম বেশি নিচ্ছেন। গরুর মাংসের দাম বাড়ার পেছনে আমাদের কোন হাত নেই। আমরা বেশি দিয়ে কিনেছি তাই মাংসের দাম বাড়িয়েছি।

মাংসের সাথে পাল্লাদিয়ে বেড়েছে মাছের দামও। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ২০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কার্পজাতীয় মাছ। নদী ও বিলের মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০০-১৫০ টাকা বেশিতে। এ সপ্তাহে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ট্যাংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, গত সপ্তাহের চেয়ে ২০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে বাশপাতা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৪০০ টাকা, চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকায়।

মাছ কিনতে আসা পূরবী রায় জানান, আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী এই কথাটা আর আমাদের সাথে যায়না। মাছের দাম দিনদিন যেভাবে বাড়ছে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা হয়তো একদিন মাংশের মতো মাছ খাওয়াও ভূলে যাব।

মাছ বিক্রেতা নজরুল জানান, মাছের আমদানি কম থাকার কারণে দামটা একটু বেশি। আর তাছাড়া শুক্রবারে মাছের দাম অন্যদিনের চেয়ে বেশি থাকে। আমরা আজ মাছ বেশি দামে কিনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে আমাদের কোন কিছু করার নেয়।

এছাড়া সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারে অন্যন্য পণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল রয়েছে। গত সপ্তাহের দামে আজ বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, করলা ৮০, শসা ৬০-৮০, পিয়াজ ৩২, কাচামরিচ ৮০ টাকায়।

গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা ও দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ টাকায়। বাজারে দাম কমে লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালি এবং সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা হালিতে। গত সপ্তাহের মতো স্থিতিশীল থেকে খাশির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ টাকা কেজিতে।

এছাড়াও সপ্তাহের শেষ দিনে মুদিপণ্য সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

 

 

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে