বাঘায় ছেলের হাতে বাবা খুন

প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২৩; সময়: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ |
বাঘায় ছেলের হাতে বাবা খুন

জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় আজিজুল আলম আসতুল (৫৭) এর মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাবাকে খুনের দায়ভার স্বীকার করেছে নিহতের ছোট ছেলে তারেক রহমান সনি। সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাবাকে খুন করেছে বলে স্বীকার করে তারেক রহমান সনি । পরে হত্যা মামলা দায়ের করে শনিবার (১৩-০৫-২০২৩) সকালে তারেক রহমান সনিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১২ মে) উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুকুর পাড় থেকে আজিজুল আলম আসতুল এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে নিহতের ছোট ছেলে তারেক রহমান সনিকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার বাবাকে হত্যার দায়ভার স্বীকার করে। এ বিষয়ে নিহতের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। আজিজুল আলম আসতুল উপজেলার চক আমোদপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব প্রামানিকের ছেলে।

ফারুক হোসেন জানান, ১৯৯৮ সালে তার মা পারুল বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করেন বাবা আজিজুল আলম আসতুল। হত্যার দায়ে বাবাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন আদালত। বছর দু’য়েক আগে সরকারের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় মুক্তি পেয়ে বাড়িতে আসেন। তারপর থেকে তিনি অস্বাভাবিক আচরন করতে থাকেন। তাকে শিকলবন্দী করে রাখা হতো। মাস খানেক আগে ঘরের জানালা ভেঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরপর থেকে এলাকার গাছতলায় থাকতেন।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান,মরদেহের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ দেখে হত্যার সন্দেহ করা হয়। পরে নিহতের সন্দেহভাজন ছোট তারেক রহমান সনিকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানায়,বৃহসপতিবার ঘটনার রাতে তার বাবা তাকে মারপিট করলে সেও বাবাকে খড়ি দিয়ে মুখে ও ঘাড়ে মারপিট করে। মারা যাওয়ার পর পুকুর পাড়ে মরদেহ ফেলে রেখে আসে।

খুনের দায় স্বীকার করে তারেক রহমান সনি জানায়,তার বাবা কারামুক্ত হয়ে বাড়িতে আসার পর অস্বাভাবিক আচরনসহ তাকে মারপিট করতো। অন্যদিকে মাকে হত্যার পর সে (তারেক রহমান সনি) নিজেও স্বাভাবিক থাকতে পারেনি। ওসি জানান, নিহতের বড় ছেলে ফারুক হোসেন বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে