স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো চলছে চট্টগ্রামে

প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩; সময়: ১২:৩৩ অপরাহ্ণ |
স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো চলছে চট্টগ্রামে

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বন্দর নগরী চট্টগ্রামে চলছে স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৩। তথ্যপ্রযুক্তির এই প্রদর্শনীর আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিএসএস) চট্টগ্রাম শাখা। ১৪ জুন বুধবার এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী (নওফেল)।

এ সময় তিনি বলেন, প্রযুক্তি মানুষকে স্মার্ট করে তবে স্মার্ট হওয়ার জন্য প্রযুক্তি একমাত্র মাধ্যম নয়। প্রযুক্তিতে দক্ষ হওয়ার পাশাপাশি নৈতিক গুণাবলী অর্জন করতে হবে। মানুষ মানবিক, দক্ষ এবং প্রযুক্তি বান্ধব হলেই স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারবে। প্রযুক্তি প্রদর্শনী স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম সহায়ক। আমি বিশ্বাস করি স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৩ চট্টগ্রাম শিক্ষার্থী এবং তরুণদের প্রযুক্তি প্রেমী হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।

চট্টগ্রাম জিইসি কনভেনশন সেন্টারে চলছে প্রদর্শনীটি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

তিনি বলেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসবে। চাকরী করার চেয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য নিজেদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। আর এই দক্ষতা আসবে তখন যখন শিক্ষার্থী এবং যুব সমাজ প্রযুক্তি বান্ধব হবে। আমাদের শিক্ষা নীতিতে প্রযুক্তির প্রতি গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। আইসিটি খাতে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ফ্রিল্যান্সাররা বাসায় বসে আউটসোর্সিং করতে পারছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশের সুফলও আমরা নিঃসন্দেহে উপভোগ করতে পারবো।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জি. সুব্রত সরকার।

তিনি বলেন, ফোরআইআরকে গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের পিলারগুলোকে নির্মাণ করা গেলে ভবিষ্যত সমস্যাগুলোর সমাধান সহজ হবে। বিসিএস নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে দেশের মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ। সে লক্ষে ১০টি শাখা এবং সাড়ে তিন হাজারের বেশি সদস্য নিয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ হবে সারা পৃথিবীর কাছে স্মার্ট দেশের অন্যতম রোল মডেল।

(expo) শুভেচ্ছা বক্তব্যে বিসিএস সহ-সভাপতি এবং প্রদর্শনীর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মো. রাশেদ আলী ভূইয়া বলেন, দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে যে সংগঠনটির নাম সবার শীর্ষে সেই সংগঠনটি হলো বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি বা বিসিএস। প্রতিষ্ঠার ৩ যুগ পেরিয়ে এই সংগঠনের সাফল্যও ঈর্ষণীয়। কম্পিউটারের ক্রয়মূল্যকে হাতের নাগালে এনে প্রযুক্তি খাতকে অগ্রগতির মহাসড়কে পৌঁছে দিতে যে আন্দোলন বিসিএস শুরু করেছিল সে আন্দোলনের সফল গন্তব্য আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ।

বিসিএস এর উচ্চারণ করা ডিজিটাল বাংলাদেশ শব্দটি এখন আমাদের ট্রেডমার্ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রযুক্তিখাতকে এগিয়ে নিতে বরাবর আন্তরিক। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে আমরাও বিশ্বাস করি ‘রুপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নের আগেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ এ রুপান্তর হবো।

স্বাগত বক্তব্যে বিসিএস চট্টগ্রাম শাখার চেয়ারম্যান এবং প্রদর্শনীর আহ্বায়ক মো. দিদারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, স্মার্ট সোসাইটি তৈরি করতে স্মার্ট পিপল বা সিটিজেনের বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মানুষকে স্মার্ট করতে মূলত সব আয়োজন। আজ থেকে ২০ বছর আগেও আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোগ্রাম লাইভ দেখার কথা চিন্তা করতে পারতাম না। আজ আমাদের প্রত্যেকের হাতে হাতে স্মার্টফোন আর স্মার্ট ডিভাইস।

এই ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে আমরা সারা পৃথিবীর সাথে সংযুক্ত। পৃথিবী আজ বিশ্বায়নের গ্রামে পরিণত হয়েছে। আর এই সফলতার একক কৃতিত্ব ডিজিটাল ডিভাইস তথ্য প্রযুক্তিপণ্যের।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্পন্সর প্রতিষ্ঠান স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের পরিচালক এবং বিসিএস এর প্রাক্তন যুগ্ম মহাসচিব মো. মুজাহিদ আল বেরুনী সুজন, বিসিএস চট্টগ্রাম শাখার সেক্রেটারি সুমন চৌধুরী, প্রাক্তন চেয়ারম্যান মো. সুফিয়ান আলী, স্পন্সর প্রতিষ্ঠান সিডনিসান ইন্টারন্যাশনালের সিইও সাগর টিটো প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিলের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফয়সাল খান। প্রদর্শনীর সহযোগী আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি)।

স্মার্ট বাংলাদেশ টেক এক্সপো ২০২৩ চট্টগ্রাম এর প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা। স্কুল শিক্ষার্থী এবং সংবাদকর্মীদের জন্য বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও রোটারেক্ট, রোটারি, লিও এবং লায়ন্স ক্লাবের সদস্যদের পাশাপাশি সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সারদের জন্যও প্রদর্শনীতে বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ থাকছে।

সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চালু থাকবে। মেলায় দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে ওয়াইফাই ব্যবহার করতে পারবেন। তিন দিনব্যাপী এই মেলা ১৬ জুন শেষ হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে