তানোরে রোপা আমন চাষে ব্যস্ত কৃষান-কৃষানীরা

প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২৩; সময়: ৪:০১ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
তানোরে রোপা আমন চাষে ব্যস্ত কৃষান-কৃষানীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, তানোর : রাজশাহীর তানোরে রোপা আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষান কৃষানীরা। বৃষ্টি নির্ভর এই রোপা আমনের ভরা মৌসুমে পরিমানতম বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা জমি চাষ করে রোপা আমন রোপন শুরু করেছেন।

গত কয়েকদিনের ভারি বর্ষনে জমিতে পানি জমেছে। ফলে কৃষকরা রোপা আমন রোপন করা শুরু করেছেন পুরো দমে। তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ২২ হাজার ৩’শ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের প্রস্তুতি চলছে।

গত কয়েকদিন ধরে তানোর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, তানোর উপজেলার প্রতিটি জমির মাঠে কৃষকরা রোপা আমন চাষে জমির মাঠে ব্যাস্থ্য সময় কাটাচ্ছেন। কৃষানের সাথে সাথে কৃষানীদেরো জমির মাঠে দেখা দেখা গেছে।

কৃষকদের কেউ জমি তৈরির জন্য চাষ করছেন কেউ জমিতে রোপা আমন রোপন করছেন কেউ আবার লাগিয়ে ফেলেছেন। উপজেলায় সর্বত্রই বৃষ্টির পানি পরিমান মত হওয়ায় সর্বত্রই রোপা আমন চাষ করছেন কৃষকরা।

ছাঐড় গ্রামের জামাল নামের এক কৃষক বলেন, চাষাবাদে এখন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন ফলে কোন জমি ফেলে রাখতে নারাজ কৃষকরা। তিনি বলেন এবছরও রোপা চাষে লাভবান হতে পারবেন এমনচাই বিশ্বাষ ও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

কৃষকরা বলছেন, প্রতি বিঘা রোপা আমন চাষে খচর হবে ৮ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলন হবে বিঘা প্রতি ২০ মন থেকে ২৪ মন পর্যন্ত।

বর্তমানে প্রতি মন ধান ১হাজার টাকা থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করলে কৃষকদের লাভ হবে বিঘা প্রতি ৮ হাজার টাতা থেকে ১০ হাজার।

আর যারা জমি বর্গা বা বছর চুক্তিতে লীজ নেয়ে চাষাবাদ করছেন তারা লাভবান হবেন। কৃষকদের অভিযোগ সার ও কিটনাশক সময়মত এবং সরকারী মুল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বেশী দামে কিনতে হচ্ছে। সরকারী ভূর্তুকীর বেশী অংশ সিনডিকেটের পকেটে গেলেও কৃষকরা কৃষি চাষাবাদে লাভবান।

নারায়নপুর গ্রামের কৃষক খলিল বলেন, এই সরকারের আমলে বর্তমানে কৃষকরা কৃষি কাজ করে লাভবান হচ্ছেন। কবে, সার ও কিটনাশকসহ উন্নত মানের বীজ সংগ্রহে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হলেও চাষবাদে লাভভান হওয়ায় সেই ভোগান্তি মনে রাখছে না।

মইফুল বলেন, ১৮ বিঘা জমিতে রোপা আমন রোপন করা হয়েছে। ফলন ভালো হবে এবং লাভবান হওয়া আশা করছি। তিনি বলেন, কৃসকরা আলু, ধান, গমসহ যেকোন কৃষি বিষয়ক চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, এবছর বোরো চাষে কৃষকরা বেশ লাভবান হয়েছেন। ফলে, কৃষকরা রোপা আমন চাষে ব্যাস্থ্য সময় পার করছেন। তিনি বলেন, গত কয়েক দিন বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা জমি চাষ করে রোপা আমন রোপন শুরু করেছেন।

তিনি বলেন, রোপা আমনেও বাম্পার ফলনের জন্য উপ-কৃষি কর্মকর্তারা নিজ নিজ ব্লকের কৃষকদের বিভিন্ন ভাবে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি পারামর্শ প্রদানসহ সকল প্রকার সহযোগিতার জন্যে মাঠে রয়েছেন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে