সাইকেল নাকি গাড়ি?

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৩; সময়: ২:৫৮ অপরাহ্ণ |
সাইকেল নাকি গাড়ি?

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দেখতে গাড়ির মতোই। চার চাকার। কিন্তু আবার গাড়িও বলা যায় না। আবার সাইকেলের কাতারেও ফেলা যায় না। ছোট আকারের এই বাহনকে বলা হয়ে কোয়াড্রি সাইকেল।

যা দেখতে অনেকটা টাটা ন্যানোর মতোই। এই গাড়ি ঘিরে উৎসাহ বাড়ছে বিশ্বে। নজরকাড়া চেহারা ও দূষণমুক্ত গাড়ি হওয়ার কারণে বিশ্ববাজারে চাহিদা বাড়ছে এই ইলেকট্রিক গাড়ির।

এই গাড়ি তৈরি করেছে মাইক্রোলিনো নামের এক প্রতিষ্ঠান। মডেল মাইক্রোলিনো ইভি।

carছোট সাধারণ গাড়ির মতো দেখতে হলেও এটি একটি চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি। গাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইতিমধ্য়েই বাজারে এসেছে। এবার ফ্রান্সে পাওয়া যাবে এই গাড়ি।

এই কোয়াড্রি সাইকেলগুলেঅ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির এলএসভি বিভাগের আদলেই তৈরি করা হয়েছে। তবুও ইউরোপে অনেক বেশি গতিতে এই গাড়ি চালানোর অনুমতি রয়েছে। মূলত, প্রচলিত গাড়ির তুলনায় অনেকটা সহজেই চালানো যায় এই কোয়াড্রি সাইকেল। ট্রাফিক আইনের বিধিনিষেধ অনেক কম। পাশাপাশি ইউরোপের মতো জায়গায় কম খরচে চালানো যায় এই গাড়ি। সাশ্রয়ী হওয়ায় এই গাড়ি বেছে নিচ্ছে চালকরা।

মাইক্রোলিনো একটি সুইস ডিজাইনের বৈদ্যুতিক গাড়ি। এটি একটি গাড়ির মতো মনে হলেও আদতে একে গাড়ি ও মোটরবাইকের মাঝখানে রাখা চলে। গাড়ির তুলনায় গাড়িটি অনেক ছোট দেখতে। দেখে মনেই হতে পারে, বাইকের ওপর কেউ গাড়ির আচ্ছাদন দিয়ে দিযেছে। তবে এই ছোট গাড়ির মধ্যেও পাবেন স্টোরেজ অপশন। এই ইলেকট্রিক গাড়িতে দুই জন বসার জায়গা রয়েছে। গাড়িতে এরপরেও পাবেন ২৩০ লিটারের বুটস্পেস।

এই গাড়ির ওজন মাত্র ৫৩৫ কেজি। মজার বিষয় হল ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এই গাড়ি। এর বেস মডেলের রেঞ্জ ১১৫ কিলোমিটার। কোম্পানির মতে, এক চার্জে গাড়িটি প্রায় এক সপ্তাহ শহরে চলাচল করতে পারে।

মাইক্রোলিনো হল ইউরোপের একটি ক্লাস এল৭ই যান। যার অর্থ হল এটি টেকনিক্যালি একটি চার চাকার সাইকেল। যদিও এটি ডিজাইন করা হয়েছে একটি কমপ্যাক্ট গাড়ির মতো। এতে একটি ইউনিবডি চ্যাসি, ছোট ব্যাটারি ও নামমাত্র কার্বন ফুটপ্রিন্ট রয়েছে। এর ৯০ শতাংশ উপাদান ইউরোপে তৈরি।

সাশ্রয়ী হওয়ায় এই গাড়ি বেছে নিচ্ছে চালকরা। প্রায় ১৭ হাজার ৯০০ পাউন্ড খরচ করলেই পাওয়া যাবে এই গাড়ি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে