‘অর্থ সমন্বয় করতে না পারার দায় আমার উপর চাপানো হচ্ছে’

প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৩; সময়: ১০:৫০ অপরাহ্ণ |
‘অর্থ সমন্বয় করতে না পারার দায় আমার উপর চাপানো হচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাবি : বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কয়েক লক্ষ টাকা বাকি থাকার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা এম. তারেক নূরের বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বিল সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। এর প্রেক্ষীতে আজ একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক এই ছাত্র উপদেষ্টা। সেখানে অর্থ সমন্বয় করতে না পারার দায় তার উপর চাপানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

সমন্বয় করতে না পারার দায় কার সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেকোনো অনুষ্ঠান একটা কমিটির মাধ্যমে হয়। যেটার সভাপতি থাকেন একজন উপ-উপাচার্য এবং সদস্য সচিব থাকেন ছাত্র উপদেষ্টা। এছাড়া, কমিটির সদস্য থাকেন বেশ কয়েকজন। এখানে দায়ের কথা বলতে গেলে, দায়তো পুরো কমিটির ওপর বর্তাবে। শুধু ছাত্র উপদেষ্টার একার দায় হবে কেনো?’

এম. তারেক নূর বলেন, ‘একটা অনুষ্ঠান করার পরে মোট খরচ হিসেব করে অফিসে জমা দেওয়াকে সমন্বয় বলে। সমন্বয়ের বিষয়টা সাধারণত অফিস পালন করে, ফাইল মেইনটেইন করার দায়িত্বতো আমার না। অনেক সময় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ হয়ে যায়। গত ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ হয়েছিল। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন না দেওয়ায় সমন্বয় করা যায়নি। এরকম ঘটনা অনেক রয়েছে। যেমন: বঙ্গবন্ধু হলের তৎকালীন প্রাধ্যক্ষ রওশন জাহিদ একটা অনুষ্ঠানের ক্রেস্ট তৈরীর দায়িত্বে ছিল। এটার জন্য বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার টাকা, কিন্তু খরচ হয়েছিল ৬৪ হাজার টাকা। এই অতিরিক্ত খরচের টাকাটা কিন্তু সে এখনো সমন্বয় করতে পারেনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা অফিসে আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখবেন, সমন্বয়টা ধীরেধীরে হয়। কারণ, আমাদের এতোটা ব্যস্ত থাকতে হয় যে, এটা করার সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। যেমন: রফিকুল ইসলাম স্যার ছাত্র উপদেষ্টা ছিলেন অনেক আগে। ওনার বিল সমন্বয় করা হয়েছে ওনার রিটায়ারমেন্টের আগে। সাধারণত একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি সমন্বয় না করলে, তার রিটায়ারমেন্টের সময় টাকাটা কেটে নেওয়া হয়। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখবেন, ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের একজন চেয়ারম্যান দশ বছর আগের বিল কিছুদিন আগে সমন্বয় করেছে।’

রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিল সমন্বয় করার চিঠি পাওয়ার দুইমাস হয়ে গেলেও কোনো সাড়া না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সমন্বয় করার দায়িত্ব আমার। বকেয়ার বিষয়টাতো আমাকে বলতে হবে। কি কি করেছে সেটার সুনির্দিষ্ট লিস্টসহ কতটাকা বাকি আছে সে বিষয়ে আমার কাছে আসতে হবে পাওনাদারদের। কাজটা একটা কমিটির মাধ্যমে হয়। কোনো বাকি থেকে থাকলে, তা পরিশোধের দায়িত্ব ওই কমিটির।’

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে