একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু

প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৩; সময়: ১১:১১ পূর্বাহ্ণ |
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল ৮টায় ভর্তির জন্য সার্ভার খুলে দেওয়া হয়।

প্রথমদিন থেকেই ভর্তির নীতিমালা অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ২০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না। ভর্তিপ্রক্রিয়া হবে লটারিতে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে তিন ধাপে আবেদন গ্রহণ করা হবে। প্রথমধাপে ২০ আগস্ট পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে।

সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কলেজে ভর্তি শুরু হবে। আর একাদশে ক্লাস শুরু হতে পারে ৮ অক্টোবর থেকে।

পুরো আবেদন চলাকালে দুই দিন অনলাইন আবেদন বন্ধ থাকবে। এর মধ্যে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও ৬ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমীর ছুটির জন্য অনলাইন সার্ভিস ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে।

ভর্তি ফি কত?

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে পাঁচ হাজার টাকা সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি নেওয়া যাবে। ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্য মহানগর এলাকায় তিন হাজার, জেলায় দুই হাজার ও উপজেলা বা মফস্‌সল এলাকায় দেড় হাজার টাকা দেওয়া যাবে।

এছাড়া এমপিওভুক্ত নয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ফি, সেশন চার্জ ও ভর্তি ফি কত নেওয়া যাবে, সেটি নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরে বাংলা ভার্সনে সাড়ে সাত হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে সাড়ে আট হাজার টাকা নেওয়া যাবে।

ঢাকা মহানগর ছাড়া অন্যান্য মহানগর এলাকায় বাংলা ভার্সনে পাঁচ হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে ছয় হাজার টাকা, জেলা পর্যায়ে বাংলা ভার্সনে তিন হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে চার হাজার টাকা এবং উপজেলা ও মফস্‌সল এলাকায় বাংলা ভার্সনে আড়াই হাজার ও ইংরেজি ভার্সনে তিন হাজার টাকা নেওয়া যাবে।

আবেদন প্রক্রিয়া –

অনলাইনে আবেদনের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করা যাবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না।

আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দ দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে এর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে ৩৩৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। আগে প্রাথমিক নিশ্চায়ন ফি ছিল মোট ৩২৮ টাকা। তবে আগে ১৩৫ টাকা থাকা রেজিস্ট্রেশন ফি ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৪২ টাকা করায় মোট ফি বেড়েছে।

ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবেন যারা –

পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হলেও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।

প্রবাসীদের সন্তান অথবা বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অথবা খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় অথবা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবে।

তিন ধাপে আবেদন –

অনলাইনে প্রথম ধাপে ভর্তির আবেদন চলবে ১০ থেকে ২০ আগস্ট। তবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে অনলাইন আবেদন ও কল সেন্টার বন্ধ থাকবে। ২১ থেকে ২৪ আগস্ট আবেদন যাচাই–বাছাই করা হবে।

৩১ আগস্ট পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করে ফল বদলানো শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে। ৫ সেপ্টেম্বর রাত আটটায় প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর নির্বাচনে নিশ্চায়নের সুযোগ পাবেন প্রথম ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা।

১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর রাত আটটা পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের আবেদন করা যাবে। ফল প্রকাশ করা হতে পারে ১৬ সেপ্টেম্বর। একই দিন রাত আটটায় প্রথম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ করা হবে। ১৭ ও ১৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিতরা নির্বাচন নিশ্চায়নের সুযোগ পাবেন।

সর্বশেষ ও তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন করা যাবে ২০ ও ২১ সেপ্টেম্বর। ২৩ সেপ্টেম্বর ফল প্রকাশ করা হবে। ২৪ ও ২৫ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ধাপের নির্বাচন নিশ্চায়ন চলবে।

গ্রুপ নির্বাচন –

বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন।

মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

গত ২৮ জুলাই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৫০ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ লাখ ৪১ হাজার ১৪০ জন।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে