জ্বলজ্বলে সূর্যে হলুদ ফাটল, নাসার ছবিতে বিস্ময়

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩; সময়: ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ |
জ্বলজ্বলে সূর্যে হলুদ ফাটল, নাসার ছবিতে বিস্ময়

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পৃথিবীসহ অসংখ্য গ্রহ সূর্যকে ঘিরে আবর্তিত হচ্ছে। বলা যায় এসব গ্রহের প্রাণশক্তি যোগাচ্ছে গনগনে সূর্য।

আমাদের চিরচেনা জ্যোতিষ্ক এবার ধরা পড়ল নতুন রূপে। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সূর্যের ভিন্ন রূপ ক্যামেরা বন্দি করেছেন। সেই ছবিতে সূর্যের বুকে হলুদ ফাটলও দেখা গেছে।

আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা প্রায়ই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মহাকাশের আশ্চর্যজনক সব ছবি শেয়ার করে বিশ্ববাসীর জন্য, যা দেখে অবাক হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। নাসার ইনস্টাগ্রামে পৃথিবী এবং মহাকাশ সম্পর্কে জানতে আগ্রহীদের জন্য একটি ভান্ডার বললে, বেশি কিছু বলা হবে না।

নাসা আবারও একটি সূর্যের ছবি শেয়ার করেছে। এই ছবিটিতে আগুনের জ্বলন্ত বলটিকে দেখলে আপনি চমকে উঠতে বাধ্য। ইনস্টাগ্রামে এই ছবিটি শেয়ার করে, নাসা ক্যাপশনে অনেক কিছু লিখেছে।

নাসা ক্যাপশনে লিখেছে, ‘আমাদের সৌরজগৎ হল বৃহত্তম সূর্য, যা তার বিশাল আকার এবং চৌম্বক উপস্থিতির কারণে, গ্রহ থেকে ধূলিকণা, সবকিছুকে প্রভাবিত করে।’

জ্বলন্ত সূর্যের ছবি দিয়ে নাসা আরও লিখেছে, ‘সূর্যের বায়ুমণ্ডল বা করোনা একটি গতিশীল পদার্থ। এর জন্যই সোলার ফ্লেয়ার এবং করোনাল মাস ইজেকশনের (সিএমই) মতো বড় বিস্ফোরণ ঘটে।

নিয়ার-আর্থ সোলার ডাইনামিক্স অবজারভেটরি ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে এই সিএমইকে ধরেছিল। প্রতি সেকেন্ডে ৯০০ মাইল গতিতে মহাকাশে এদিক ওদিক ঘোরে। ফটোতে সূর্যের পৃষ্ঠে হলুদ ফাটল দেখা যাচ্ছে।

করোনাল মাস ইজেকশন কী?

করোনাল মাস ইজেকশন বা সিএমই হল সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমার বৃহৎ বিস্ফোরণ। সৌর বিস্ফোরণের পরে সূর্য থেকে প্রচুর পরিমানে প্লাজমা বের হয়। আর তারপরেই তৈরি হয় সৌরঝড়।

এগুলো প্রায়ই লক্ষ লক্ষ মাইল ভ্রমণ করে এবং গ্রহগুলোর চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে এদের সংঘর্ষ ঘটে। পৃথিবীর দিকে অগ্রসর হওয়ার সময়, এটিতে চৌম্বকীয় ব্যাঘাত ঘটে।

এমনকি এর পরিমাণ যদি বেশি হয়, তবে তা মহাকাশে থাকা মহাকাশচারীদের বিপদে ফেলতে পারে। এমনকি হাতের হত্যা করার ক্ষমতাও করোনাল মাস ইজেকশনের রয়েছে।

সহজভাবে বলতে গেলে, সৌর শিখা বা সোলার ফ্লেয়ার হলো সূর্যের বায়ুমণ্ডলে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের একটি তীব্র বিস্ফোরণ, হঠাৎ সূর্যের পৃষ্ঠে দেখা দেয়।

সাধারণত কয়েক মিনিট স্থায়ী হয়। সোলার ফ্লেয়ারের উৎস ব্যাখ্যা করে নাসা বলেছে, ‘সূর্যের উপরিভাগের গতিশীল বায়ুমণ্ডলকে বলা হয় করোনা।

এটি প্লাজমায় ভরা থাকে, যার গতি সূর্যকে ঘিরে থাকা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। করোনার তাপমাত্রা লক্ষ লক্ষ ডিগ্রীতে পৌঁছাতে পারে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে