পুঠিয়ায় বেগুন চাষে উদ্যোক্তাদের সাফল্য

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৩; সময়: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ |
পুঠিয়ায় বেগুন চাষে উদ্যোক্তাদের সাফল্য

মোহাম্মাদ আলী, পুঠিয়া : সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুরিয়া ইউনিয়নের ধাদাশ এলাকার কয়েকজন যুবক উদ্যোক্তা। এতে ঔ যুবক গুলো কৃষিকে ভালোবেসে নিজ নিজ ব্যবসা, চাকরির পাশাপাশি জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষে তারা সফল হচ্ছেন।

তাই এখানকার এই উদ্যোক্তারা বাণিজ্যিকভাবে বেগুন, পেয়ারা, ফুলকপি, পটলসহ বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করে থাকে এদের মধ্যে মোহাম্মদ আলী একজন দলিল লেখক, শামীম আলী একজন ডাউল ব্যবসায়ী, আবুল কাশেম একজন প্রভাষক, রেজাউল করিম একজন সহকারী শিক্ষক তারা নিজ নিজ কর্মব্যস্ততার মাঝেও নতুন এই উদ্যোক্তারা বেগুনের চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন। বেশি ফলন ও বাজারে ভাল দাম থাকায় খুশি এই উদ্যোক্তারা।

জানা যায়, বর্তমানে পুঠিয়ার ধাদাশের এই উদ্যোক্তারা এখন জমিতে তাল বেগুন, ফুলকপি ও পেয়ারা গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবার খরা আবহাওয়া থাকলেও হাগরা তাল জাতের এই বেগুনের ভালো ফলন হয়েছে।

চারা রোপনের দুই মাসের মধ্যেই বেগুন ঘরে তোলা যায়। ফলে এখানকার এই চাষিরা খুব কম সময়েই বেগুনের ভাল ফলন পেয়ে থাকেন।

পুঠিয়া কৃষি অফিসের তথ্য মতে, সারা বছরের বিভিন্ন মৌসুমে উপজেলায় ১১শ থেকে ১২শ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের বেগুন চাষাবাদ হয়। এতে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে।

উদ্যোক্তা শামীম আলী বলেন, কৃষি অফিসের কোন সহোযোগিতা ছাড়াই আমরা ব্যবসার কাজ শেষ করে বাড়তি কিছু আয় করতে চেয়েছি। সেই লক্ষ্যেই বেগুনের চাষ করেছি।

চারা রোপনের মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ দিন পর থেকে এখন বেগুন সংগ্রহ করতে পারছি। আমার ২৩ শতাংশ জমি থেকে সপ্তাহে ১৫ থেকে ১৮ মণ বেগুন সংগ্রহ করি। বেপারিরা জমি থেকে বেগুন কিনে নিয়ে যায়।

বাজারে দরও ভাল। আশা করছি অনেক টাকার বেগুন বিক্রয় করতে পারবো। এতে যেমন ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে পাশাপাশি আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।

মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা আমাদের গ্রামের কয়েকজন উদ্যোক্তা মিলে নিজস্ব কাজকর্ম শেষ করে বাড়তি লাভের আশায় বাড়ির কাছের জমিগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে উচ্চ ফলনশীল বেগুন, পেয়ারা, ফুলকপি, শশা, ঢেরশসহ বিভিন্ন সবজি ও ফল চাষ করছি। এতে ভালে সাড়া পাচ্ছি।

পুঠিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেন, আমরা কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করছি। তারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কৃষি কাজে অংশগ্রহন করছে। আমাদের এলাকায় অনেক বেগুন চাষ হয়।

আর তাল জাতের বেগুনটাও ঢাকা অঞ্চলে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এতে চাষিরা ভালো লাভবান হচ্ছে। এতে কৃষি কাজে শ্রম ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা এই সকল উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে