টমেটোতে আগুন, ১৪০ টাকায়ও ‘লাভ পাচ্ছে না’ বিক্রেতারা

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৪, ২০২৩; সময়: ১০:৩৪ পূর্বাহ্ণ |

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বাজারে সবধরনের শীতকালীন সবজির সমাহার, এরপরও কোনোভাবেই নাগালে আসছে না দাম। বিশেষ করে টমেটোর বাজারে দেখা গেছে আগুন।

বিক্রেতারা বলছেন, ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করেও অন্যান্য সবজির মতো লাভ পাচ্ছেন না তারা। কারণ হিসেবে বলছেন, বাজারে আমদানি করা ভারতীয় টমেটোর সংকট রয়েছে। আর দেশি টমেটো বাজারে নতুন হওয়ায় দাম এমনিতেই একটু বেশি।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে এলাকার বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি পুরান আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এছাড়া টমেটো ১৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ফুলকপি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, পেঁপে কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।

এছাড়া কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজি, মুলা ৩০ টাকা কেজি, লাউ ৪০-৫০ (পিস) টাকা, শসা ৪০ টাকা, লেবু ৪০ (হালি) টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী শামীম আহমেদ বলেন, শুক্রবার এলেই শাক সবজির দাম বেড়ে যায়। গত পরশু দেখলাম টমেটো ১০০ টাকা, আজকে দেখি ১৪০ টাকার কমে দিচ্ছেই না।

এছাড়াও আলুর দাম সরকার নির্ধারণ করে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা করে। বাজারে না এলে বোঝাই যায় না, দেশে কী পরিমাণ অনিয়ম-স্বেচ্ছাচারিতা চলছে। ব্যবসায়ীরা চাইলেই জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে ফেলে।

তিনি বলেন, বাজারে প্রচুর পরিমাণ সবজি, এরপরও ৩০-৪০ টাকার মধ্যে সবজি নেই বললেই চলে। যাও অন্যান্য দিনে কিছুটা কম থাকে, কিন্তু শুক্রবার এলেই বাজারে আগুন লেগে যায়।

টমেটোর দাম প্রসঙ্গে ডিআইটি প্রজেক্ট বাজারের সবজি বিক্রেতা নাজমুল ইসলাম বলেন, কয়েকটি সবজি ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণেই আছে। তবে টমেটোর দামটা একটু বেশি।

আমাদেরকেই ১৩৬ টাকা কেজি করে কিনে আনতে হয়েছে। এর সঙ্গে আবার যাতায়াত ভাড়া আছে, তারপরও সবাই মিলে ১৪০ টাকা করে বিক্রি করছি। তুলনামূলক অন্যান্য সবজিতে যেই লাভ আসে, টমেটোতে লাভ নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, দেখে হয়ত মনে হচ্ছে বাজারে অনেক সবজি, কিন্তু ফুলকপি আর বাঁধাকপি ছাড়া অন্যান্য সবজি কিন্তু তেমন একটা নেই। শীত শুরু হয়ে গেলেও শীতের সবজি পুরোদমে এখনো বাজারে আসেনি। আর কারণেই দামটা একটু বেশি মনে হচ্ছে।

সবজির দাম প্রসঙ্গে বাড্ডা পাঁচতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, শীতের সবজি বাজারে আসতে শুরু করলেও তুলনামূলক চাহিদা অনেক বেশি।

দাম বেশি, তারপরও মানুষ এত পরিমাণ নিচ্ছে যা দেখে আমরাও অবাক। তার মানে চাহিদা অনুপাতে সবজির পরিমাণ কম। যে কারণে বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। দাম বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ হলো, বাজারে সার-কীটনাশকের দাম অনেক বেশি।

তাছাড়া শ্রমিকদের মজুরিও বেড়েছে। সবমিলিয়ে কৃষক পর্যায়েই এখন দামটা কিছুটা বেশি। সেটা যখন বিভিন্ন হাত ঘুরে আমাদের কাছে আসে, স্বাভাবিকভাবেই দামটা বেশি হওয়ার কথা।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে