রাজশাহীর কালামসহ ১০ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৪; সময়: ১১:১০ পূর্বাহ্ণ |
রাজশাহীর কালামসহ ১০ প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : নির্বাচনী আরচণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে রাজশাহী-৪ আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদসহ ১০ জন প্রার্থী, একজন উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৬০ জনের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক মামলা করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এরমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতেই ৪২টি মামলা দায়ের করার নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। এই ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে চারজন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের, একজন জাতীয় পার্টি এবং বাকিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী।

ইসি সূত্র জানায়, আচরণবিধি লংঘন করায় নৌকার প্রার্থী রাজশাহী-৪ আসনে আবুল কালাম আজাদ, নোয়াখালী-২ আসনে মোরশেদ আলম, চট্টগ্রাম-১৬ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান ও ঝিনাইদহ-১ আসনে আব্দুল হাই, জাতীয় পার্টিও প্রার্থী মাগুরা-২ আসনের মো. মুরাদ আলী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়পুরহাট-২ আসনের গোলাম মাহফুজ চৌধুরী, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের মো. আলী আসলাম, নোয়াখালী-২ আসনের আতাউর রহমান ভূঁইয়া, নেত্রকোনা-১ আসনের জান্নাতুল ফেরদৌস আরা ও মেহেরপুর-১ আসনে আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এছাড়া আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগে অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলার করতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইসির উপসচিব মো. আব্দুছ সালাম পিরোজপুর-২ আসনের আওতাধীন ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মিরাজুল ইসলাম মিরাজের বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে বাদী হয়ে মামলার নির্দেশনা দিয়েছেন। মিরাজের বিরুদ্ধে আমলযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করতে বলেছে ইসি।

ইসি চিঠিতে জানায়, পিরোজপুর-২ নির্বাচনী এলাকার মিরাজুল ইসলাম মিরাজ গত ২৪ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মহিউদ্দীন মহারাজের উপস্থিতিতে নির্বাচনি এলাকায় অত্যন্ত আপত্তিকর, কুরুচিপূর্ণ, অশালীন, মানহানিকর ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেন।

ফলে ওই ব্যক্তি আরপিও ও আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এই অবস্থায়, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আমলযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।আচরণবিধি লংঘনের বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা ছয়শ’র মতো অভিযোগ পেয়েছি। তার মধ্যে প্রায় চারশো অভিযোগ এন্টারটেইন করেছি।

এন্টারটেইন করে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে কি করণীয় বা কি পদক্ষেপ গৃহিতব্য সেটা আমরা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদেরকে জানিয়েছি। বিধি অনুযায়ী তাদেও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।জানা যায়, নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ও সমর্থকদের এ পর্যন্ত ৫৮৯টি শোকজ ও তলব নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে