বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য জমা দেওয়া মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে সব প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুনিরুজ্জামান তালুকদার।
আজকের মধ্যে (রোববার) সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে সবাইকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচনের কমিশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমিশনের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান তালুকদার বলেন, বাছাইয়ে কারো নাম বাদ না পড়লেও বৈধ মনোনয়নপত্রের বিরুদ্ধে কেউ চাইলে আপিল করতে পারবেন।
আর ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আপিল নিস্পত্তির জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন রাখা হয়েছে। এরপর কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে বৈধ প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
সাধারণ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটগুলোর পাওয়া আসনের বিপরীতে সংখ্যানুপাতে সংরক্ষিত নারী আসন বণ্টন করা হয়। এবার আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে ২২৩টি আসন। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন ৬২টি আসনে।
তারা সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী মনোনয়নে আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দুটি দল দুটি আসন পেয়েছে। তারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করেছে। ফলে আওয়ামী লীগ পাচ্ছে ৪৮টি আসন।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে জয় পেয়েছে। তারা দুটি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে।
সাধারণত সংরক্ষিত নারী আসনের বিপরীতে দল ও জোটগতভাবে সমানসংখ্যক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়। এটি হলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময় শেষে একক প্রার্থীদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হতে পারে।
সেটি হলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা সংসদ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
