নিত্যপণ্যের সরকারি দর মানছে না কেউ

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৪; সময়: ৯:০০ অপরাহ্ণ |
নিত্যপণ্যের সরকারি দর মানছে না কেউ

পদ্মাটাইমস ডেস্ক: বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও মানছে না কেউই। ক্রেতারা বলছেন, তালিকায় বেঁধে দেয়া দামে বাজার করা স্বপ্ন মাত্র। আর, বিক্রেতারা বলছেন, খুচরা পর্যায়ে যে দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে, সেই দামে পাইকারিতেও পণ্য মিলবে না। আর এই বিষয়টি ক্রেতারা বুঝতে চান না।

রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঝুলছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মুল্য তালিকা, যেখানে নিত্যপন্যের দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে। ডাল, ছোলা, মসুর, মাছ, মাংস, সবজি, পেয়াজ রসুন্সহ মোট ২৯টি পণ্য জায়গা পেয়েছে তালিকায়। উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা তিন কলামে তিন স্তরে দাম।

মুদিবাজারের ঝুলানো তালিকাই বলে দিচ্ছে সরকারের বেঁধে দেয়া দাম আর বাজারের দামে কতো তফাৎ। এর পক্ষে যুক্তিও দেখান দোকানদাররা। খুচরা বিক্রেতা দাবি করেন,তারা সরকার নির্ধারিত দামের কথা জানতেন না। অন্যরা বলেন, প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ না বাড়লে এই উদ্যোগ কাজে দেবে না।

রোববার বাজারে দেখা গেলো,

সরকার নির্ধারিত ৯২ টাকা ৬১ পয়সা কেজির খেসারি ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, বেগুন, কাঁচা মরিচ, টমেটো ও কুমড়ার মতো সবজি সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ৪০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের একটি মুদি দোকানের মালিক গোফরান বলেন, পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে আমরা যে দামে কিনি, সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তা অনেক কম। সরকার যদি পাইকারি দাম কমাতে পারে, তাহলে আমরা সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে পারব।

একই দশা মাংসের বাজারেও, এই দামের নিচে বিক্রি সম্ভব নয় সাফ কথা। এদিকে মুরগি বিক্রেতারাও বলে দিলেন, সরকারি তালিকা মতো খুচরা দামে খামার থেকেও মুরগি কেনা অসম্ভব। সরকার নির্ধারিত খাশির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১০০৩ টাকা ৫৬ পয়সা নির্ধারণ করে দিলেও তা বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৫০ টাকায়।

সরকার নির্ধারিত সোনালী মুরগির দাম ২৬২ টাকা হলেও বিক্রি হয়েছে ৩২০-৩৩০ টাকায়। আর, মসুর, মুগ ও মাসকলাইসহ বিভিন্ন রকমের ডাল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা যায়।

২৯টি পণ্যের মধ্যে শুধু ডিম ও কাতল মাছ সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি হয়েছে। প্রতি ডিম ১০-১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং প্রতি কেজি কাতল মাছ ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আশার আলো দেখাছে কাচামরিচ। সরকারি দাম মেনে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায় কেজিতে। কোন কোন দোকানে দাম তারও কম।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সীমিত ও নিম্ন আয়ের পরিবারের মানুষ। অনেক ভোক্তাই বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঠিক করে আগেও কখনো কাজ হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। কারণ, কর্তৃপক্ষ শুধু দাম নির্ধারণ করে দেয়, সেগুলো কার্যকর করার ব্যবস্থা নেয় না।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে