মোহনপুরে প্রভাবশালী কর্তৃক যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২৪; সময়: ৬:০৯ অপরাহ্ণ |
মোহনপুরে প্রভাবশালী কর্তৃক যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক,মোহনপুর : মোহনপুর উপজেলা বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রভাবশালী কর্তৃক শত বছরের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে শত বছরের যাতায়াতের একটি গলিপথ শত্রুতার জেরে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে ওই মহল্লার ২ টি পরিবার অবরুদ্ধ জীবনযাপন করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মৌপাড়া গ্রামে । এ ঘটনায় ভুক্তভোগিরা মৃত রিয়াজ উদ্দিন ছেলে জালাল উদ্দীন দিং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর রাস্তা উদ্ধারে একটি লিখিত আবেদন করেন।

সরেজমিন গেলে উপজেলার মৌপাড়া গ্রামের অবরুদ্ধ জালাল উদ্দিন, তার পরিবার সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, প্রায় শত বছরের এই গলিপথ বন্দ করে দেওয়া ফলে দুইটি পরিবারের লোকজন ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী পাশের বাঁশঝাড় পথ দিয়ে কষ্ট করে যাতায়াত করেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মৃত সেকেন্দার আলী প্রতিবেশী মুক্তার হেসেন ,মনসুর রহমান, মজিবর রহমান ,লুৎফর রহমান, ক্ষমতাজোরে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শতবছরের এই গলি রাস্তাটি গত ১ মাস পূর্বে তিনটি স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়।

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয় পরবর্তিতে তারা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর রাস্তা পুনরুদ্ধারে একটি লিখিত আবেদন করেন। রাস্তা বন্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সরকারি নিদের্শনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে পুনরায় বাঁশের বেড়া দিয়ে উক্ত গলিপথটি বন্ধ করে দিয়েছে। যার ফলে তারা এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। তারা বাঁশের বেড়া অপসারণের মাধ্যমে শতবছরের রাস্তা উদ্ধারের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চেয়ারম্যানের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে মুক্তার হোসেন মনসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, শতবছর ধরে তাদের জমির উপর দিয়ে মানুষ চলাচল করে আসছে। এখন আমাদের জমির উপর দিয়ে আর কাউকে চলাচলের জন্য রাস্তা দিব না। তাই বাঁশের বেড়া দিয়ে গলিপথটি ঘিরে দিয়েছি।এ ব্যাপারে স্থানীয় ৭ ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন আমি বেড়া খুলে দেওয়ার জন্য বলেছি তারা শুনছেন না।

তবে মানুষের যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়া কখনও কাম্য নয়। মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারি জায়গা হলে আমরা উচ্ছেদ ব্যবস্থা করতাম এ বিষয়ে সিভিল আদালতের মামলা দায়ের পরামর্শ দেন।
সাদিকুল ইসলাম স্বপন

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে