‘হামাসের একাধিক ব্যাটালিয়নের টিকিটাও ছোঁয়া যায়নি’

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪; সময়: ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ |
‘হামাসের একাধিক ব্যাটালিয়নের টিকিটাও ছোঁয়া যায়নি’

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ইসরায়েলি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ছয় মাস ধরে প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ সত্ত্বেও স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসকে ধ্বংস করা যায়নি।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, হামাসের ২৪টি ব্যাটালিয়নের মধ্যে চারটি ব্যাটালিয়নের টিকিটাও ছোঁয়া যায়নি। গাজা আগ্রাসনের প্রধান উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মতো মিত্র দেশগুলোও ক্রমেই তেল আবিবের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় আগ্রাসন শুরুর নির্দেশ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরপর তিনি অসংখ্যবার বলেছেন, হামাস নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত হামলা চলবে।

দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল মনে করে, তারা গত ছয় মাসে মধ্য ও উত্তর গাজায় হামাসের প্রধান কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। তবে বিভিন্ন এলাকায় এখনও গেরিলা প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে।

তারা গাজার রাফা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েল এরই মধ্যে এই রাফায় আক্রমণ শুরু করছে যেখানে গাজার প্রায় ১৭ লাখ উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। ইসরায়েল মনে করে, তাদের খুঁজে বের করতে এবং ধ্বংস করতে আরও অনেক দেরি হতে পারে।

এদিকে ইতিমধ্যে ইসরায়েলের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে চলতি সপ্তাহে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণে ক্ষুদ্ধ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভোটো না দেওয়া যুদ্ধ প্রক্রিয়া ও ৭ অক্টোবর হামলার ঘটনায় হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করার প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এই ঘটনার পর নেতানিয়াহুর অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলের যে প্রতিনিধি দলের ওয়াশিংটন যাওয়ার কথা ছিল, আপাতত তারা সেখানে যাবে না। প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়েছেন।

অপর দিকে হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘ইসরায়েলের প্রতিনিধি দলের সফর বাতিল করা অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। রাফা ছাড়া আর কোন পথে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।’

তার দাবি, যুক্তরাষ্ট্র গাজা নিয়ে তাদের অবস্থান বদলে ফেলেছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। তারা ভোটে অংশ নেয়নি কারণ, প্রস্তাবে হামাসের যথেষ্ট বিরোধিতা করা হয়নি। তবে প্রস্তাবে পণবন্দিদের ছাড়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও তার সঙ্গে সংঘর্ষ-বিরতির দাবি মেলানো হয়নি।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে