এফ-১৬ পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে, তবে ইউক্রেনে তা কাজে আসবে না

প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০২৪; সময়: ১:০৭ অপরাহ্ণ |
এফ-১৬ পরমাণু অস্ত্র বহন করতে পারে, তবে ইউক্রেনে তা কাজে আসবে না

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে রাশিয়া। দখলদার রুশ বাহিনীকে হটিয়ে দিতে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে অসংখ্য অস্ত্র সহায়তা দিচ্ছে। তবে ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চেয়ে আসছে আধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান।

এমনকি এই ফাইটার দেওয়ার আগে অত্যাধুনিক এই যুদ্ধবিমান চলনার প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে ইউক্রেনীয় পাইলটদের। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেনকে এই যুদ্ধবিমান দিলেও তা এই যুদ্ধে কোনও কাজে আসবে না, যদিও এই বিমান পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার রাশিয়ার সামরিক পাইলটদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো পুতিনকে উদ্ধৃত করে বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে এফ-১৬ ফাইটার জেট সরবরাহ করলেও এই বিমানটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না।

পুতিন আরও বলেন, তবে এই ফাইটার জেটগুলো পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে এবং মস্কোকে তার সামরিক পরিকল্পনায় এটি বিবেচনায় রাখতে হবে।

রুশ বার্তাসংস্থা তাস বলছে, মস্কোর উত্তর-পশ্চিমে একটি সমাবেশে বুধবার পাইলটদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন পুতিন। সেখানে তিনি বলেন, ‘যদি তারা (ইউক্রেনকে) এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে এবং তারা এই বিষয়ে কথাও বলছে এবং স্পষ্টতই পাইলটদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে, তারপরও এটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন ঘটাবে না।’

রাশিয়ার এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘এবং আমরা এই বিমানগুলোকেও ধ্বংস করব ঠিক যেমন আমরা আজ ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং একাধিক রকেট লঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করছি।’

পুতিন উল্লেখ করেছেন, এফ-১৬ ফাইটারগুলোর পারমাণবিক অস্ত্র বহন করার ক্ষমতা রয়েছে ‘এবং আমরা কীভাবে এই বিষয়গুলো মোকাবিলা করব তা আমাদের অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে’।

তিনি আরও বলেন, ‘এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলো (রাশিয়ার হামলার) বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে, সেটা তারা যেখানেই থাকুক না কেন। অবশ্যই যদি এই যুদ্ধবিমানগুলো তৃতীয় কোনও দেশের বিমানঘাঁটি থেকে ব্যবহার করা হয়, তবে তারাও আমাদের জন্য বৈধ লক্ষ্যে পরিণত হবে। যেখানেই তারা অবস্থান করবে, সেটাই আমাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে।’

রয়টার্স বলছে, এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের বিষয়ে পুতিন এই মন্তব্য এমন এক সময়ে করলেন যখন আগের দিনই ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই যুদ্ধবিমানটির ইউক্রেনে পৌঁছানো উচিত।

অবশ্য দুই বছরের বেশি সময় ধরে রুশ আগ্রাসনের অধীনে থাকা ইউক্রেন বহু মাস ধরে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চেয়ে এসেছে। গত বছর বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে এবং নেদারল্যান্ডস কিয়েভকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এছাড়া এই দেশগুলোর একটি জোট ইউক্রেনীয় পাইলটদের এই যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য প্রশিক্ষণে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে