এক নারীতে ধরাশায়ী ৩ চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২৪; সময়: ২:৪৩ অপরাহ্ণ |
এক নারীতে ধরাশায়ী ৩ চেয়ারম্যান ও ছাত্রলীগ নেতা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক : বরগুনার তালতলীতে এক নারীতে ধরাশায়ী হয়েছেন তিন চেয়ারম্যান ও এক ছাত্রলীগ নেতা। আলোচিত আপত্তিকর ভিডিওর ঘটনার জেরে সাংবাদিক ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছেন তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার।

বৃহস্পতিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার ডিবিপ্রধানকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।

আসামিরা হলেন- তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছোট বগী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনু। তার ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগ নেতা তারেকুজ্জামান তারিক, এখন টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আরিফ হোসেন, যুগান্তরের আমতলী প্রতিনিধি জসিম শিকদার, কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের শফিকুল ইসলাম ইমন, মো. মিলন গাজী, ছোট বগীর ঠংপাড়া গ্রামের মো. ফারুক ও পচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের তাশরিফ আহমেদ জুয়েল।

বাদী আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার অভিযোগ করেন, তিনি একজন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আসামি তৌফিকুজ্জামান তনু ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর তার ফেসবুক আইডির ম্যাসেঞ্জারে একটি আপত্তিকর ভিডিও বাদীকে প্রেরণ করেন। ভিডিওটি প্রেরণ করে একটি খুদেবার্তা দেন তার বড় ভাই মনিরুজ্জামান মিন্টুর পক্ষে উপজেলা নির্বাচন করতে হবে। তার ভাইয়ের নির্বাচন না করলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দে্রায়ার হুমকি দেয়।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে তৌফিকুজ্জামান তনু ওই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এ মাসের ৩ এপ্রিল বাদী ব্যাংকে যাওয়ার সময় মামলার ২নং আসামি তাকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে একই ঘটনায় ৫০ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় বাদী টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার ব্যাগে থাকা পাঁচ লাখ টাকা ২নং আসামি জোরপূর্বক আদায় করেন।

বাদী আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে সমাজে ছোট করার জন্য আসামিরা সিরিজ ভিডিও সৃষ্টি করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেছি। আদালত মামলা আমলে নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে আসামি তৌফিকুজ্জামান তনু বলেন, বাদীসহ কয়েকজন চেয়ারম্যানের কয়েকটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে দেখেছি। এক চেয়ারম্যান বাদী হয়ে সেই মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মেয়েটি জেলহাজতে। এ ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার বিরুদ্ধে কেন আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার মামলা করেছেন তা তিনিই ভালো জানেন।

তিনি বলেন, মামলা হওয়া উচিত আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারের বিরুদ্ধে। একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। পৃথিবীর সব মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. বশির আলম বলেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পেলে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে