রাজশাহীতে থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবির অসহযোগ আন্দোলনে রাজশাহীর মোহনপুর থানায় হামলা চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উপজেলা ভুমি অফিসে ঢুকে ভাংচুর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারিরা।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারিরা। এতে অংশ নেয় শিক্ষার্থী ছাড়াও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ তাদের বিভিন্ন পেশার সমর্থকরা।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা উপজেলা চত্বরের দিকে যায়। এ সময় প্রথমে তারা উপজেলায় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে তারা পালিয়ে গেছে আন্দোলনকারিরা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
এর পর আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে গিয়ে গেট ভেঙে মোহনপুর থানা চত্বরে প্রবেশ করে। এর পর তারা পুলিশের গাড়িসহ থানায় ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এ সময় তারা পুলিশের তিনটি গাড়িসহ বেশ কিছু মোটরসাইকেলে আগুন দেন।
এছাড়াও তারা উপজেলা ভুমি অফিসে ভাঙচুর এবং কেশরহাট বাজারে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন কয়েকটি কার্যালয়ে ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারিরা।
এ বিষয়ে জানতে মোহনপুর থানার ওসি হরিদাশ মন্ডলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় হামলার ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশরা সভায় ভবনের ভিতরে ছিল। ভবনের কেচি গেট তারা ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু পারেনি। তবে থানা চত্বরের যে সব যানবাহন ছিল সেগুলো ভাংচুর করে আগুন দিয়েছে। কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত করে যানা যাবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।