৮ স্বভাবের মেয়েদের প্রেমে পড়লে জীবন শেষ
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : ৮ স্বভাবের মেয়েদের- আপনার চারপাশেই রয়েছে কত না সুন্দরী আর স্মার্ট মেয়ে! তাদের কারো সঙ্গে স’ম্পর্কে জ’ড়িয়ে পড়ার আগে একটু চিন্তা করে দেখুন। সব মেয়েই কিন্তু আপনার সঙ্গে কেবল প্রে’ম বা বিয়ে করার জন্য স’ম্পর্ক করবে না। তাই কোনো মেয়ের সাথে স’ম্পর্কে জ’ড়ানোর আগে জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জেনে নিন, যেসব মেয়ের সাথে স’ম্পর্কে জ’ড়ানো উচিত নয়।
১) মুডি তরুণীঃ এরা এমনিতে ভালো- হাশিখুশিও থাকে খুব। কিন্তু এদের মুড বোঝা দায়। ক্ষণে ক্ষণে পাল্টায়-এই বসন্ত তো পরক্ষণেই শীত। তাই এদের মনের নাগাল পাওয়া দুষ্কর। এদের সঙ্গে কথা বলার আগে আপনাকে অন্তত একশবার চিন্তা করতে হবে। কারণ আপনি তো গণক নন। আর এরা একবার রে’গে গেলে আপনার দফা রফা। মনের যত ঝাল আপনার ওপরই মেটাবে।তাই সবচেয়ে ভালো হয় নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। প্রেম বা বিয়ে যা-ই করুন না কেন, বুঝে শুনে সময় নিয়ে করুন।
২) গায়ে পড়া স্বভাবঃ আর এক ধরনের মেয়ে আছে যাদের সবকিছুতেই একটু বাড়াবাড়ি। এ রকম স্বভাবের কোনো মেয়ের পাল্লায় পড়লে আপনার জীবন নরক হয়ে যাবে। তাদের ভালোবাসার যন্ত্র’ণায় এক মিনিট শ্বাস নেয়ার ফুরসত পাবেন না। ১৫ মিনিট অন্তর অন্তর ফোন করবে।
ফোন না ধরলে ম্যাসেজ দিয়ে দিয়ে আপনার মোবাইল বোঝাই করে ফেলবে। তারপর ফেসবুক তো আছেই। না, কোনো স্বাধীনতাই আপনি পাবেন না। এমনকি দিনে কয়বার বাথরুমে গিয়েছিলেন সেটাও তাদের জানা চাই। কেবল ওই আবেগঘন স’ম্পর্কটা শেষ হওয়ার পরই আপনি স্বস্তি পেতে পারেন!
৩) এরা কেবলই বন্ধুঃ এসব মেয়েরা আপনার সঙ্গে ঘুরবে, টেলিফোন করবে। ব্যস এ পর্যন্তই। এদের ওপর আপনি কখনো ভরসা করতে পারবেন না। এরা আপনার জন্য উপযুক্ত মেয়ে নয়। কারণ আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন সে আপনার সঙ্গে স’ম্পর্ক থাকার কথাটা কখনোই আপনার পরিবার বা বন্ধুদের কাছে স্বীকার করবে না। তাই এদের সঙ্গে স’ম্পর্কে জ’ড়ানো মানে নিজের সময় নষ্ট করা। এ ধরনের মেয়েরা যে কোনো সময় স’ম্পর্ক অস্বীকার করে বলতে পারে, ‘আমি তো এমনি এমনি ঘুরেছি’। বা নাটকের সংলাপের মতো ‘তুমি স্রেফ বন্ধু, অন্যকিছু নও।’
৪) তার টাকা আমার টাকাঃ এদের জীবনে টাকাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ কারণে তারা স’ম্পর্ক করার সময়ই আপনার মানিব্যাগের সাইজের ওপর নজর রাখবে। কারণে অকারণে সুন্দরী তরুণীটি আপনার টাকা ওড়াতে থাকবেন। বাধা দিলে রাগারাগি, মন খারাপ। এদের সঙ্গে স’ম্পর্ক রাখতে গেলে আপনাকে টাকা খরচ করতেই হবে। কেননা তাদের কাছে আপনি বা আপনার ভালোবাসা সবসময়ই সেকেন্ডারি বিষয়।
৫) বাড়াবাড়ি রকমের রূপসীঃ এরা দেখতে বেশ সুন্দরী, কিন্তু ভিতরটা ফাঁপা। তারা দামি পোশাক পরবে, নিজেকে সুন্দর করে সাজাবে। ফলে এসব মেয়ে সহজেই নজর কাড়ে। যে কোনো অনুষ্ঠানে তারাই মধ্যমনি। তাই এরকম কোনো মেয়ের সঙ্গে স’ম্পর্কে জ’ড়িয়ে পড়লে আপনার কপালে খারাপি আছে। এমনকি তার কোনো নীরব প্রেমিকের কাছ থেকে ঠ্যাঙানি খাওয়ার আশঙ্কাও নাকচ করে দেয়া যাচ্ছে না।
দিনের মধ্যে কমপক্ষে দশবার করে আপনাকে বলতে হবে, ‘তুমি এই নশ্বর পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী কন্যা। বলিউড সুন্দরী ঐশ্বরিয়া বা ক্যাটরিনা তোমার নখের যোগ্যিও নয়।’ তারপরও সবসময় আপনাকে তটস্থ থাকতে হবে। কী জানি ভুল করে কোনো মেয়েদের দিকে তাকালেন বা কারো প্রসংশা করলেন! ব্যাস, তাহলেই হয়েছে। এত ঝামেলার কী দরকার ভাই। এদের এড়িয়ে চলুন, আখেরে আপনারই লাভ!
৬) দোলদোল দুলুনিঃ এই এক ধরনের মেয়ে, যারা কোনোদিনই বড় হয় না। সারাজীবন বাবা-মায়ের ‘দোলদোল দুলুনি’ হয়ে থাকতে চায়। এদের সঙ্গে প্রে’ম করেছেন তো মরেছেন। সারাজীবন ধরে ‘নবজাতকের’ মতো তার দিকে আপনার খেয়াল রাখতে হবে। আপনার প্রতিও যে তার কিছু দায়িত্ব আছে সেটা সে কখনোই উপলব্ধি করতে পারবে না। আর কোনদিন রা’গ করে কিছু বলেছেন তো তার চৌদ্দগোষ্ঠীর কাছে জবাবদিহি করতে করতে জীবন শেষ। সত্যি বলতে কি এসব ‘ন্যাকুপ্যাকু’ মেয়েদের ওপর কখনো নির্ভর করা যায় না।
৭) গল্পকথার রানীঃ তিলকে তাল করতে এদের জুড়ি মেলা ভার। সারাদিন কটরকটর, ফটরফটর। এক মুহূর্তের জন্য ঠোঁট দুটো বন্ধ করতে রাজি নয়। অনেকদিন পর দেখা হয়েছে বা সারা দিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফিরেছেন। চাইছেন নিভৃতে প্রিয় সঙ্গিনীর সঙ্গে দু’চারটে কথা বলবেন। কিন্ত তার কি আর জো আছে! অমুক কী করল, তমুক কী বলল- রাজ্যের কথা বলে আপনার মাথা ধরিয়ে দেবে। সত্যিকারভাবে বলতে গেলে এদের প্রেমিক বা স্বামীর কোনো দরকার নেই। এদের দরকার কেবল একজন নীরব শ্রোতা, যার কাছে মন খুলে পরচর্চা করা যায়।
৮) সবজান্তা রমণীঃ এরা হলো জীবন্ত বিশ্বকোষ। মহাজগতের সবকিছুই যেন জেনে বসে আছেন তারা। তাই অহঙ্কারে এদের মাটিতে পা পড়ে না। তাই এদের সঙ্গে কথা বলে কোনো শান্তি পাবেন না। যে কোনো বিষয় নিয়ে, যে কোনো স্থানে তারা আপনার সঙ্গে তর্কে জ’ড়িয়ে পড়বে। আপনি রণে ভঙ্গ দিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করা না পর্যন্ত লড়াই চলতেই থাকবে। হতে পারে তারা সবজান্তা। কিন্তু তারা সঙ্গীকে বোঝার চেষ্টা করে না। এছাড়া অন্যের আবেগকে মূল্য দিতে চায় না বলে এরকম মেয়ের সান্নিধ্যে আপনি সুখী হবেন না।