নিয়ামতপুরে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২০; সময়: ২:১৭ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
নিয়ামতপুরে বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক, নিয়ামতপুর : কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালের হিমেল হাওয়া ও তীব্র শীত উপেক্ষা করে নওগাঁর নিয়ামতপুরের কুষকরা বোরো ধান রোপনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠজুড়ে বোরো আবাদের ধুম চলছে। ভোরের আলো ফুটতেই কোমর বেধে ফসলের মাঠে নেমে পড়েছেন কৃষকরা।

বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি চাষের কাজ চলছে পুরোদমে। খালে ধারে, রাস্তার পাশের জমিতে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ধানের কচি চারার সবুজ গালিচা কোথাও গভীন নলকূপ, কোথাও অগভীর (এসটিডাব্লিউ) থেকে চলছে সেচের কাজ। ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার দিয়ে চলছে জমি চাষের কাজ। আবার বোরো ধান রোপনের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। উপজেলা সদর, হাজিনগর ইউপির হাজিনগর গ্রাম, কুমারগাড়া, মোহাম্মাদপুর, শিবপুর, চৌপুকুরিয়া, উপরকুড়া শালবাড়ী, চন্দননগর ইউপির বামইন, চন্দননগর, ছাতড়া বিল, ভাবিচা ইউপির সিদাইন, ভাবিচা বিল, আমইল, রসুলপুর ইউপির রসুলপুর গ্রাম, ভীমপুর, অমৃতপুর, নীমদীঘি, পাড়ইল ইউপির ঝুড়ুয়াপাড়া, বীরজোয়ান, শ্রীমন্তপুর ইউপির বটতলী, রামনগর, শ্রীমন্তপুর বাহাদুরপুর ইউপির সাদাপুর, আদমপুর, গুজিশহর, বাহাদুরপুর সহ উপজেলার কৃষকরা বোরো আবাদের জন্য জমি তৈরীর করে চারা রোপন করা শুরু করেছে।

রসুলপুর ইউপির অমৃতপুর গ্রামের কৃষক সেলিম রেজা বলেন, এবার তিনি ১৫ বিঘা জমি বোরো আবাদ করবেন। সেজন্য ৫ কাঠা জমিতে বীজতলা তৈরী করেছেন। ইতিমধ্যে ৮ বিঘা জমি চাষ সম্পন্ন হয়েছে। দুএকদিনে মধ্যেই বাকী চারা রোপন সম্পন্ন করবেন।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২০ হাজার ৩শ ৪০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় এবারে রবি শস্যের মধ্যে গম ৩ হাজার ৯শ হেক্টর, ভুট্টা ৪৫ হেক্টর, সরিষা ৪ হাজার ২শ ৪০ হেক্টর, আলু উফশী ১ হাজার ৩শ ৭০ হেক্টর পিয়াজ কন্দ ৭০ হেক্টর, চারা ৩শ ৫ হেক্টর, রসুন ৭৫ হেক্টর ধনিয়া ১৫ হেক্টর শীতের সবজি ৬শ ১৫ হেক্টর, মরিচ ১শ ৫০ হেক্টর, মসুর ১৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এবারে আদর্শ বীজতলা তৈরী হয়েছে ২ হাজার ২শ ১১ হেক্টর, শুকনো বীজতলা ২২ হেক্টর জমিতে তৈরী করা হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমীর আব্দুল্লাহ মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, আমরা আসলে বোরো চেয়ে রবি শস্যের দিকে কৃষকদের বেশী উদ্বুদ্ধ করছি। কারণ রবি শস্যে সেচ কম লাগে। তাই গত বোরো মৌসুমের চেয়ে এবারে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা বেশী ছিল। কিন্তু যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পুরণ হবে আশা করি। আর বিদ্যুতের বিষয়টি হচ্ছে আমি বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মতিউর রহমান ও পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছি তারা উভয় বলেছে বিদ্যুতের কোন সমস্যা নেই। আর নিয়ামতপুর উপজেলার কৃষকরা ফেব্রুয়ারীর মাঝামাঝি পর্যন্ত বোরোর চারা রোপন করে। তাই নিয়ামতপুরে বিদ্যুতের কোন সমস্যা হবে বলে করি না।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে