রাজশাহীতে কুমারী পূজায় নারীদের জয়ধ্বনি
নিজস্ব প্রতিবেদক : শারদীয় দুর্গোৎসবের বড় আকর্ষণ কুমারী পূজা। রাজশাহীতে এবারও জাঁকজমকভাবে পালিত হলো কুমারী পূজা। মহাঅষ্টমীর পূজা শেষ হতেই শুরু হয় কুমারী পূজার লগ্ন। আর এই কুমারী পূজায় করা হলো নারীর বন্দনা। নারীর জয়ধ্বনিতে মেতে উঠলেন সনাতন ধর্মালম্বীরা।
রাজশাহীতে কুমারী পূজার আয়োজন করে ত্রিনয়নী সংঘ। রাজশাহীতে শুধুমাত্র এখানেই কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। ত্রিনয়নী সংঘ গেল ১৪ বছর ধরেই কুমারী পূজার আয়োজন করে আসছে। তাই শনিবার সকাল থেকেই এই পূজামন্ডপে আসতে থাকেন ভক্তরা। ছোট-বড় বিভিন্ন বয়সী ভক্তরা মন্ডপে অপেক্ষা করেন কুমারী রূপে দেবী দুর্গাকে দেখার জন্য।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কুমারী পূজা শুরু হয়। এই সময় দেবীরূপে মন্ডপে এসে বসেন ১২ বছর বয়সী ঐন্দিলা। পরনে টুকটুকে লাল শাড়ি, মাথায় মুকুট, পায়ে আলতা এবং ডান হাতে পদ্ম নিয়ে আসনে বসেন ঐন্দ্রিলা।
গত চার বছর ধরেই ঐন্দ্রিলাকে কুমারী দেবী রূপে দেখে আসছেন ভক্তরা। প্রতিবছরের মতো এবারও কুমারী দেবীর নামকরণ করা হয়েছে। গত বছর ‘রুদ্রাণী’ নাম ধারণ করলেও এবার তার নাম ছিল ‘ভৈরবী’। কুমারী দেবী ঐন্দ্রিলা নগরীর নজমুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম মনোজ সরকার। মায়ের নাম শাশ্বতী সরকার।
কুমারী দেবীর আসনে বসার পর থেকেই শুরু হয় পূজার আনুষ্ঠানিকতা। শাস্ত্রবিধি অনুযায়ী পূজা শুরু করেন পুরোহিত দেবব্রত চক্রবর্তী। ধুপের গন্ধ আর ঘন্টার ধ্বনিতে মোহিত হয়ে যায় পূজামন্ডপ। এরপরই গঙ্গাজল ছিটিয়ে কুমারী দেবীকে পরিশুদ্ধ করে তোলা হয়। কুমারী দেবীর চরণযুগলে প্রদান করা হয় বিশেষ অর্ঘ্য। অর্ঘ্যরে শঙ্খপত্র সাজানো হয়েছিলো গঙ্গাজল, বেলপাতা, আতপ চাল, চন্দন ও দুর্বাঘাস দিয়ে। অর্ঘ্য প্রদান শেষ হলে শুরু হয় ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান। এরপর ১১টা ২৮ মিনিটে শেষ হয় কুমারী পূজার সময়।