ছাদ ও দেয়ালে ফাটল, ঝুঁকিতে বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ২৩-০৪-২০২১, সময়: ১১:৫১ |

নিজস্ব প্রতিবেদক : পুঠিয়া উপজেলা সদরের অবস্থিত কাঠালবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি দীর্ঘদিন থেকে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। নামমাত্র জোড়াতালির সংস্কার করে এর কোনো সুফল হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে ছাদের বিভিন্ন স্থান থেকে প্লাস্তারা খুলে পড়ছে। শিক্ষক ও অভিভাবকগণ দাবি করছেন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে পুরনো ভবনটি ভেঙে সেখানে নতুন করে ক্লাস রুম তৈরি করা প্রয়োজন।

জানা গেছে বিদ্যালয়ের তিন রুম বিশিষ্ট এই পুরনো ভবনটি ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করা হয়। সে সময় আধুনিক মানের কোনো পরিকল্পনা করে ভবনটি নির্মাণ করা হয়নি। যার কারণে গত কয়েক বছর থেকে ভবনটি ব্যবহারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। তবে গত কয়েক বছরে ওই ভবনটির কিছু অংশ সংস্কার করা হলেও তা বেশি দিন টেকসই হচ্ছে না।

আনোয়ার হোসেন নামের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, সর্বপ্রথম ওই ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা দরকার। মাঝে মধ্যে ছাদের অংশ ভেঙে পড়ছে। যার কারণে ওই ক্লাসরুম গুলোতে ছোট ছোট শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে থাকে। এখন স্কুল বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা কিছুটা শঙ্কামুক্ত। তবে পুরনো ভবনটি ভেঙে সেখানে নতুন করে ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন।

স্কুলের একজন সহকারী শিক্ষক বলেন, পুরনো ভবনে অফিস রুম ছাড়াও দু’টি ক্লাসরুম রয়েছে। আর মাঝে মধ্যেই এই ভবনের ছাদের বিভিন্ন অংশ থেকে প্লাস্তারা খুলে পড়ছে। সর্বশেষ গতকাল সকালের দিকে ছাদের বড় একটা অংশ খলে পড়ে প্রধান শিক্ষকের টেবিলের ওপর পড়েছে। করোনাভাইরাসের প্রভাবের কারণে দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ রয়েছে। যার কারণে কারো কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, পুরনো ভবনটি আমরা কয়েক বার সংস্কার করেছি। কিন্তু অনেক পুরনো ভবন হওয়ার কারণে ওই সংস্কার বেশি দিন টেকসই হচ্ছে না। বিষয়টি আমাদের শিক্ষা কর্তকর্তাকে একাধিকবার জানিয়েছি। তবে সংস্কার না করে এটা ভেঙে নতুন ভবন করা হলে বেশি ভালো হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবিএম সানোয়ার হোসেন বলেন, ভবনটি অনেক পুরোনো হওয়ায় প্লাস্তারা খুলে পড়ছে। বিষয়টি স্কুল প্রধান আমাকে জানিয়েছেন। আর আমিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যাসেজ দিয়েছি।

উপরে