ষড়যন্ত্রের জালে পদ্মায় হারায়নি ‘সেতুর স্বপ্ন’, সবচেয়ে খুশি চীন
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : পদ্মা সেতুর সফল বাস্তবায়নে বাংলাদেশিদের পর বিশ্বে একমাত্র চীনারাই সবচেয়ে বেশি খুশি দেশটি। ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং-এর মতে, বিভিন্ন গোষ্ঠী যখন এ সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখন চীন এ প্রকল্পে এগিয়ে এসেছে। বহুমাত্রিক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়া এ মর্যাদার স্মারক বাস্তবায়নে শেখ হাসিনা বিশ্বে অনন্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন বলেও বিশ্বাস করে চীন।
প্রমত্তা পদ্মার বুক চিরে চলা এমন নানা কর্মযজ্ঞ দেখতে দেখতেই দক্ষিণ জনপদের কোটি মানুষের কেটে গেছে অর্ধযুগের বেশি সময়।
কল্পিত দুর্নীতি আর চতুর্মুখী ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে সেতুর স্বপ্ন পদ্মায় হারিয়ে যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণের ঘোষণা দেয়ার পর পদ্মায় প্রবল স্র্রোতের কারণে জটিল প্রক্রিয়ায় এ সেতু নির্মাণে এগিয়ে আসে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি)।
১৯টি দেশের সমন্বিত বিশেষজ্ঞ দল এ গেমচেঞ্জার স্থাপনাটি নির্মাণে সম্পৃক্ত থাকলেও এর মূল নেতৃত্বে ছিলেন চীনারাই। নদীশাসন থেকে শুরু করে একেবারে টোল আদায় পর্যন্ত দেখভাল করবে চীনা কোম্পানিই। এতটা পথ পেরিয়ে এসে সেতু যখন উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে, তখন কী ভাবছে চীন? তা-ই জানাতে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে দেশটির দূত লি জিমিং।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে বিএনপির যত বিতর্কিত মন্তব্য
চীনা দূতের মতে, দুর্নীতির ধুয়া তুলে সবাই যখন মুখ ফেরাচ্ছিল, তখন বন্ধুতার হাত বাড়িয়েছে তার দেশ। জানান, শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বের কাছে পরাস্ত সব কূটচাল।
পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বৈশ্বিক সড়ক নেটওয়ার্কের দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন লি জিমিং। তার মতে, চীনাদের চেয়ে আর কোনো দেশ এত খুশি হয়নি বাংলাদেশের এ সাফল্যে।
অর্থায়ন বন্ধসহ সেতু নির্মাণে প্রতিবন্ধকতাগুলোকে ষড়যন্ত্র বলতে নারাজ চীনা দূত। জানান, বাংলাদেশের ওপর আস্থা রেখে চীন গর্বিত। ভবিষ্যতে এমন আরও যেকোনো সহযোগিতায় পাশে থাকবে তার দেশ।
সোনার বাংলা গড়ার পথে বিশ্বাসী সঙ্গী হয়ে বাংলাদেশের পাশেই থাকতে চায় চীন–এমন বার্তাও মিলছে কূটনৈতিক পরিসরে।