তানোরে প্রথম বারের মত ২০ হেক্টর জমিতে তিল চাষ

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৩; সময়: ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ |
খবর > কৃষি
তানোরে প্রথম বারের মত ২০ হেক্টর জমিতে তিল চাষ

সাইদ সাজু, তানোর: রাজশাহীর তানোরে প্রথম বারেরমত তীলের চাষ শুরু করা হয়েছে। কৃষি অফিসের তদারকিতে এবছর প্রথম ২০ হেক্টর উচুঁ জমিতে তিল চাষ শুরু করা হয়েছে। তবে, আগামীতে এর পরিমান আরো বাড়বে বলে মনে করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।

তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, অল্প খরচে অধিক লাভ হলেও তানোরের সৃষকরা তিল চাষে তেমন ভাবে আগ্রহ পোষন করতেন না। এবছর উপজেলার বাঁধাইড়, মুন্ডুমালা ও কলমার কিছু এলাকায় তীল চাষ হয়েছে। এতে করে চাষীরা ভালো ফলন পেলে আগামীতে তীল চাষে বিপ্লব ঘটতে পারে বলে আসাবাদ ব্যক্তি করেন তিনি।

এর আগে গত বছর গত বছর কৃষি অফিসারের তদারকিতে ৩ বিঘা জমিতে তিল চাষ করা হয়েছিলো। ফলন ও দামে কৃষকরা লাভবান হয়েছিলো। অপর দিকে কৃষি কর্মকর্তাদের তদারকিতে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা সরিষা চাষ হয়েছিল রেকর্ড পরিমান জমিতে এবং বাম্পার ফলন ও দাম পেয়েছিল চাষীরা।

কৃষকরা বলছেন, জীবনে কখনো তিলের চাষাবাদ করিনি। কিন্তু কৃষি অফিসারের কথায় আমরা তিল চাষ করেছি এবং গাছও ভালো আছে। দেশে ও বিদেশে তিলের চাহিদা প্রচুর। শুধু মাত্র একটি চাষ দিয়েই তিল বপন করা হয়েছে। সার কীটনাশক বা আগাঝা বলতে কিছুই নেই।

গাছের চেহারা দেখে মনে হচ্ছে ফলন ভালো পাওয়া যাবে। বর্তমান বাজারে ১ মন তিল ৪-৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে নিম্মে ৪ মন তিল হলে ৪ হাজার টাকা মন হলে ১৬ হাজার টাকা দাম আসে। তবে বর্তমান বাজারে সাধারন জাতের তিল বিক্রি হচ্ছে প্রকার ভেদে ১০০-১৫০ টাকা কেজি ধরে। কিন্তু গবেষনার তীলের দাম অধিক।

কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গবেষনা সংস্থা ১৬ হেক্টর জমিতে যে পরিমান তীলের লাগবে সেটা দিয়েছে ও বাকি চার হেক্টর জমিতে কৃষি অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, অতীতে ২-৩ বিঘা জমিতে তিলের চাষ হত। কিন্তু এবার ২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে যা রেকর্ড। দুই ধরনের তিল চাষ হয়েছে তার মধ্যে বিনা তিল চার ও বারি তিল চার জাতের চাষ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তিল চাষে খরচ একেবারেই কম।

সার একবার ও কীটনাশক স্প্রে একবার সব মিলে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয়। বিঘায় নিম্মে ৩ মন তিলের ফলন হলে ৪ হাজার টাকা মন ধরা হলে ১২ হাজার টাকা আসে। হিসেব করলে সাড়ে ৯ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা লাভ হবে বিঘাপ্রতি এবং ৮৫ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে।

বিল কুমারী বিলে বোরো ধান কাটার পর পতিত অবস্থায় আছে এসব নিয়ে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধানতৈড় গ্রামে নিচে সবজি চাষ হয়, পড়ে থাকা জমিতে কোন কৃষক সবজি চাষ করতে চাইলে স্বল্প মেয়াদের সবজি বীজ সহ যাবতীয় সহযোগী তা করা হবে।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে