ফুল-ফাগুনের গান

প্রকাশিত: ১৪-০২-২০২৪, সময়: ১৫:০৬ |

চার দিগন্তে বন বনান্তে
জনপদে পড়েছে সাড়া;
পাত ঝরা শীতের শেষে
উৎসবে মেতেছে ধরা!

ফাল্গুধারায় হলুদ ছোঁয়ায়
সুর-লহরীর মূর্ছনায়;
বনে-মৌবনে অঙ্গনে-কাননে
ফুলেরা ডাকে ইশারায়।

হে অভিমানী প্রেয়সী সজনী
কেন মলিন মুখে বসে?
গা ঝাড়া দিয়ে জলদি এসো
হলদে ফুলের শীষে।

আর নয় রোদন এসেছে লগন
নয় অভিসার সঙ্গোপনে;
আবারো দু’জনে মিলবো ক্ষণে
এসো কবি’র কুঞ্জবনে।

আমি পড়বো পীত পাঞ্জাবী
সফেদ ধবল ইজার!
সুজানগরের আতরের ঘ্রাণে
মৌ মৌ করবে ধার।

বাসন্তী রংয়ের জগলু শাড়ীতে
তেজী লাল পাড়;
সবুজের লোকজ নকশায় ফুটবে
তোমার বসন্তের বাহার।

নানান গাদাঁ ফুলের চাঁদা
স্বহস্তে দিবো হেসে।
রক্তগাঁদার মালা পড়াবো
রাজগাঁদা গুজবো কেশে।

কানে শোভিত তাঁরাজবা
তুমি হাসলে দুলবে।
মিনুটা গাঁদার হাতের রাখি
নীরব স্বাক্ষী রইবে!

কোমল সবুজ ঘাসের গালিচায়
আমরা বসবো পাশাপাশি।
ফুলেরা রবে নীরব অনুভবে
উল্লাসে নাচবে বীথি!

ঠমকে গমকে হাসবে তুমি
মুখ যেন পূর্ণশশী।
সেই হাসির আলোকচ্ছটায়
ভুবন উঠবে উদ্ভাসি!

আমার পাঞ্জাবীর এলো বোতাম
ভালোবেসে দিবে সেঁটে!
নানান কথার ফুলঝুরিতে
তোমার হাতটি ধরবো এঁটে।

অকপটে সব মনের কথা
ফাল্গুনে বলবো তোমায়;
শাড়ীর আঁচল এলো কুন্তল
উড়াবে দক্ষিণা বায়।

মৌন হয়ে কান পেতে শুনবো
ফুল-ফাল্গুনের গান।
মন হারাবে প্রান জুড়াবে
ফাল্গুন হবে অফুরান।

হোক না বয়স ষাট-আশি
ফাল্গুন রেখো মনে।
আমি থাকি বা না-ই থাকি
মন হবে চনমনে।

কবিতাঃ ফুল-ফাগুনের গান
কাব্যগ্রন্থঃ প্রান্তিক-প্রান্তরে
কবি: এ কে সরকার শাওন
শাওনাজ ভিলা, উত্তরখান, ঢাকা।
১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

উপরে