ধান কাটাই-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌলভীবাজারের বোরো চাষিরা

প্রকাশিত: মে ১, ২০২৪; সময়: ২:৩২ অপরাহ্ণ |
খবর > কৃষি
ধান কাটাই-মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌলভীবাজারের বোরো চাষিরা

পদ্মাটাইমস ডেস্ক :  মৌলভীবাজারে ধান কাটাই মাড়াইয়ের ধুম পড়েছে। জেলার হাকালুকি, কাওয়াদীঘী, হাইলসহ ছোট বড় সব হাওরেই এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। তাদের দাবি ফলন ভালো হলেও গোলায় না তোলা পর্যন্ত শঙ্কা কাটছে না। কারণ হঠাৎ বৃষ্টি এলে হারাতে হবে আম-ছালা দুটোই।

এদিকে দেশজুড়ে তীব্র দাবদাহ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টি নয় রোদ চান মৌলভীবাজারের বোরো চাষিরা। ফলন ভালো হওয়ায় ধান ঘরে তুলতে এমন খরতাপ কষ্টের বদলে আনন্দ দিচ্ছে তাদের। জেলায় কয়েক জায়গায় কালবৈশাখি ঝড় আর শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হওয়ায়, দ্রুত ধান কেটে ঘরে তোলার ধুম পড়েছে জেলার ছোট বড় সব হাওরে।

ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যেতে ব্যস্ত মৌলভীবাজারের বোরো চাষিরা। তারা জানান, হাওরে এবার ফলন ভালো হলেও ফসল গোলায় না তোলা পর্যন্ত শঙ্কা কাটছে না। এজন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও জমি থেকে আগেভাগেই ধান সংগ্রহ করছেন চাষিরা।

চাষিরা বলছেন, এবার ধান খারাপ না, ভালো হয়েছে। বৃষ্টি না দিয়ে আল্লাহ আমাদের এরকম রোদলা দিন দিক। তাও আমরা ধান ঘরে তুলতে পারবো।

জেলার হাকালুকি, কাওয়াদীঘী, হাইলসহ ছোট বড় সব হাওরেই এখন ধান কাটার ধুম। কোথাও হাতে, কোথাও আবার মেশিনে কাটা হচ্ছে ধান। চাষিরা বলছেন, ভারী বৃষ্টির নামার আগেই ঘরে তুলতে হবে সোনালী ফসল।

জেলার কিছু জায়গায় হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড় ও শিলা বৃষ্টির কারণে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায়, দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিলেন কৃষি কর্মকর্তারাও।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামছুদ্দিন বলেন, হাওর এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়েছে। এখন প্রায় ৬৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে এবং হাওর বহির্ভূত এলাকায় ১০ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। যেসব এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে সেসব এলাকায় আমরা তালিকা তৈরি করেছি। আমরা ভবিষ্যতে তাদের পুনর্বাসনের আওতায় নিয়ে আসবো।

মৌলভীবাজারে এবার ৬১ হাজার ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।

 

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে