তেঁতুলের বিচি খেলে কী হয়?
পদ্মাটাইমস ডেস্ক : তেঁতুল একটি জনপ্রিয় ফল; বিশেষ করে মুখরোচক আচার কিংবা এ জাতীয় খাবার হিসেবে তেঁতুলের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তবে তেঁতুলের পাশাপাশি এর বীজেও যে অবিশ্বাস্য উপকারিতা রয়েছে তা আমারা অনেকেই হয়তো জানি না।
২০১৮ সালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) রুরকি বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপকরা দেখিয়েছেন যে, তেঁতুলের বিচিতে এক ধরনের প্রোটিন পাওয়া গেছে যাতে অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর তাই চিকুনগুনিয়ার জন্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ তৈরিতে সম্ভাব্যভাবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ওই গবেষণার ফলাফল এলসেভিয়ার জার্নাল, ভাইরোলজিতে প্রকাশিত হয়েছে।
তেঁতুল এবং এর বীজ দীর্ঘদিন ধরে অবিশ্বাস্য স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পরিচিত। তবে ভারতীয় অধ্যাপকদের এই গবেষণার পর তা একরকম বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়।
তেঁতুলের বিচি চকচকে কালো রঙের এবং এটি বিভিন্ন ঔষধি কাজে ব্যবহৃত হয় বলে জানা যায়। চলুন দেখে নেয়া যাক তেঁতুলের বিচিতে আরও কিছু উপকারিতার কথা-
১. দাঁতের জন্য উপকারী: বলা হয়ে থাকে, তেঁতুলের বিচির গুঁড়ো মাড়ি এবং দাঁতে ঘষলে উপকার মিলতে পারতে, বিশেষ করে যারা প্রচুর ধূমপান করেন তাদের জন্য। কোমল পানীয়ের অত্যধিক ব্যবহার এবং ধূমপানের ফলে দাঁতে টার্টার এবং প্লেক জমা হতে পারে। সেক্ষেত্রে তেঁতুলের বিচি সঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার করায় সহায়ক হতে পারে।
২. হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য কর: তেঁতুলের বিচির রস বদহজম নিরাময় এবং পিত্ত উত্পাদন বৃদ্ধির জন্য একটি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। এছাড়া এটি ফাইবার সমৃদ্ধ, যা কোলেস্টেরল কমায়। ফাইবার আপনার পরিপাকতন্ত্রের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
৩. সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে: অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকায় তেঁতুলের বিচি আপনার ত্বককে সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া, এটি আপনাকে অন্ত্র এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করতে পারে।
৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: এটি অগ্ন্যাশয়কে রক্ষা করে; যা ইনসুলিন উৎপাদনকারী কোষের আকার বাড়ায়। তেঁতুলের বীজের পানি পান করা রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করতে পারে।
৫. হৃদয়যন্ত্রের জন্য উপকারী: এতে রয়েছে পটাসিয়াম; যা উচ্চ রক্তচাপ এবং অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ততের জন্য উপকারী হতে পারে।
নোট: সুস্থ থাকতে তেঁতুলের বিচি ব্যবহার করুন। তবে স্বাস্থ্যগত কোনো ইস্যুর ক্ষেত্রে তেঁতুলের বিচি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।