রাজশাহীতে সিএমএসএমই অংশীজনদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতবিনিময়

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২৪; সময়: ৫:২৬ অপরাহ্ণ |
রাজশাহীতে সিএমএসএমই অংশীজনদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পে (সিএমএসএমই) অর্থায়ন সংক্রান্ত বিদ্যমান নীতিমালা পর্যালোচনা এবং এতদসংক্রান্ত অন্তভূর্ক্তিমূলক নতুন নীতিমালা প্রণয়নের লক্ষ্যে অংশীজনদের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় (ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজশাহীর একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয় ও রাজশাহী অফিসের এসএমই এন্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট এই সভা আয়োজন করে।

সভায় অংশীজনদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহী অফিসের আওতাধীন ৭টি জেলার ৪০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, স্থানীয় উদ্যোক্তা, আওতাধীন জেলাসমূহের চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি, উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি, উইমেন এন্টারপ্রাইজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে’র প্রতিনিধি এবং স্থানীয় বিসিকের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজশাহী অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ মতিয়ার রহমান মোল্যা’র সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক কাজী রফিকুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী অফিসের নির্বাহী পরিচালক রূপ রতন পাইন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ও মোঃ আবলু কালাম আজাদ এবং যুগ্ম পরিচালক শাহানাজ পারভীন ও মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক রাজশাহী অফিসের যুগ্মপরিচালক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তাগণ দেশের অর্থনীতিতে সিএমএসএমই’র গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এস.এম.ই অর্থায়ন সম্পর্কিত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালাটি সর্বশেষ ২০১৬ সালে প্রনয়ণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় যেন অংশীজনদের চাহিদার ও আকাঙ্খার পূর্ণ প্রতিফলন ঘটে সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের নীতিমালা প্রনয়ণের পূর্বেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফিসসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এশিয়া অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপিতে এসএমই’র অবদান ৩০ শতাংশ, চীনে ৭০ শতাংশ, ভারতে ৬০ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৫০-৬০ শতাংশ। অর্থাৎ এই খাতে বাংলাদেশের আরো উন্নয়নের সুযোগ রয়েছে। দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নের অর্থ হচ্ছে কর্মসয়স্থান সৃষ্টি, বেকারত্ব দূরীকরণ, রপ্তানীমূখী পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানী আয়ের মাধ্যমে দেশের জিডিপি’র প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সমৃিদ্ধ অর্জন।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমই খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন নীতিমালা প্রনয়ণ করে। এবারও তার প্রতিফলন পরিলক্ষিত হবে বলে বক্তাগণ আশা প্রকাশ করেন। সভায় উপস্থিত অংশীজনেরা স্থানীয়ভাবে এসএমই খাত, বিভিন্ন শিল্প ও কৃষিভিত্তিক ক্লাস্টার এবং নারী উদ্যোক্তাগণের উন্নয়নে সহজ শর্তে সিএমএসএমই ঋণ প্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন। তাঁরা এ অঞ্চলের চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ভারতসহ এসএমই সেক্টরে সফল দেশসমূহের নীতিমালা পর্যালোচনার মাধ্যমে সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে অন্তর্ভূক্তিমূলক একটি নীতিমালা প্রনয়ণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

পদ্মাটাইমস ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
topউপরে