কালের কন্ঠের সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বিশেষ প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিম আমলি আদালত-৪। বুধবার বিকেলে একটি মানহানির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বিচারক সাইফুল ইসলাম তিনজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এই সঙ্গে মামলা পরবর্তি দিন ধার্য্য করা হয়েছে আগামী ৩১ মে।
বাদি পক্ষের আইনজীবী লোকমান আলী জানান, কালেরকণ্ঠ পত্রিকায় রাজশাহী নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেন্টুকে নিয়ে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে গত ২০ অক্টোবর তিনি আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। বুধবার আদালত পুলিশের প্রতিবেদন গ্রহন করে তিন আসামীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।
আইনজীবী লোকমান আলী বলেন, মামলা বাদি আজিজুল আলম বেন্টু একজন সম্ভ্রান্ত ও বিত্তবান পরিবারের সন্তান। তিনি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও করদাতা। আজিজুল আলম বেন্টু অত্যন্ত সম্মানি ব্যক্তি এবং রাজনৈতিকভাবেও তিনি সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
কিন্তু গত ১৩ অক্টোবর কালেরকন্ঠ পত্রিকায় ‘ছাত্রলীগ নেতার খুনি এখন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা’ শিরোনামে মিথ্যা ও ভূয়া সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আজিজুল আলম বেন্টু ট্রাক চালক, মাছ বিক্রেতা ও দুধ বিক্রেতা ছিল এবং সরকারি জমি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসস্থান দখল, ভয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে সাধারণ মানুষের জমি কেনা, তার রয়েছে অস্ত্রধারী সহযোগী, জেলার ১১টি বালুমহাল নিয়ন্ত্রণসহ তার দুইটি টর্চার সেল রয়েছে বলে উক্ত সংবাদে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে বাদি তথা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি, খ্যাতি ও সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়েছে। এর প্রতিকার চেয়ে আদালতে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
লোকমান আলী বলেন, প্রকাশিত সংবাদে আজিজুল আলম বেন্টুকে নিয়ে যে তথ্য দেয়া হয়েছিল তা সত্য কি না আদালত চানতে চেয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পুলিশ সেটি তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। পুলিশ তার তদন্তে আজিজুল আলম বেন্টু ট্রাক চালক, মাছ বিক্রেতা ও দুধ বিক্রেতা ছিলেন এমন কোন তথ্য পায়নি।
এছাড়াও বেন্টু সরকারি জমি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাসস্থান দখল, ভয় দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে সাধারণ মানুষের জমি কেনা, তার অস্ত্রধারী সহযোগী, জেলার ১১টি বালুমহাল নিয়ন্ত্রণ ও তার দুইটি টর্চার সেল রয়েছে এরও প্রমান পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। ফলে সত্য নিরুপন হয়েছে এবং বাদি ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই সিনিয়র আইনজীবী।